Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
অন্য চিত্র হাসনাবাদে

বাগদায় অনাস্থা ভোটে পরাজিত হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান

তৃণমূল পরিচালিত বাগদা ব্লকের সিন্দ্রানী পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের নীতা বালা অনাস্থা ভোটে হেরে গেলেন। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত অফিসে ভোটাভুটিতে উপস্থিত ১৫ জন সদস্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগদা ও হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৫২
Share: Save:

তৃণমূল পরিচালিত বাগদা ব্লকের সিন্দ্রানী পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের নীতা বালা অনাস্থা ভোটে হেরে গেলেন।

মঙ্গলবার পঞ্চায়েত অফিসে ভোটাভুটিতে উপস্থিত ১৫ জন সদস্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। বিডিও মালবিকা খাটুয়া বলেন, ‘‘এক মাসের মধ্যে নতুন প্রধান নির্বাচনের জন্য সভা ডাকা হবে।’’

এ দিন যে ১৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৩ জন সদস্য ছিলেন তৃণমূলের। বাকি ২ জন নির্দল। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়ল। যদিও দলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, প্রধান অফিসে বেশি সময় দিতে পারছিলেন না। তাঁকে বলা হয়েছিল, পদত্যাগ করতে। কিন্তু তিনি দলের নির্দেশ মানেননি। সে কারণেই দলের অন্য সদস্যেরা দলের অনুমতিতেই তাঁকে সরিয়ে দিয়েছেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েত মোট সদস্য ২৫ জন। সম্প্রতি ১৯ জন লিখিত ভাবে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ওই ১৯ জনের মধ্যে তৃণমূলের সদস্য ছিলেন ১৫ জন। নির্দল ছিলেন তিন জন এবং সিপিএমের একজন সদস্য ছিলেন।

ওই সদস্যেরা অনাস্থা প্রস্তাবে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, প্রধান উন্নয়নমূলক কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্য সদস্যদের মর্যাদা দিচ্ছেন না।

প্রধানের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, কিছু ক্ষমতালোভী মানুষের ব্যক্তিস্বার্থে আঘাত লাগার কারণেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।

অন্য দিকে, হাসনাবাদের মুরারিশা পঞ্চায়েতের পরে ভেবিয়া পঞ্চায়েতটিও সিপিএমের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। সম্প্রতি, ভেবিয়া পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং উন্নয়নমূলক কাজ না করার অভিযোগে অনাস্থা আনে তৃণমূল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tmc Bagdah No-confidence vote
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE