দীপেশ সাহা এবং বাবাই দে। নিজস্ব চিত্র
পর্যটকদের সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে গিয়ে জঙ্গলে পথ হারিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের দুই টুর অপারেটর। এমনটাই দাবি ওই দুই টুর অপারেটরের পরিবারের। শনিবার থেকে ওই দু’জনের কোনও খোঁজ মিলছে না বলে তাঁদের পরিবারের দাবি।গত ২৪ মে সান্দাকফুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন অশোকনগরের ১৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীপেশ সাহা (৪৮) এবং তাঁর সঙ্গী বাবাই দে (৩৬)। ২৫ মে তাঁরা পৌঁছন গন্তব্যে। দীপেশের স্ত্রী স্বপ্না সাহার দাবি, শনিবার থেকে তাঁর স্বামী এবং বাবাইয়ের কোনও খোঁজ মিলছে না। স্বপ্নার দাবি, ‘‘শনিবার কালিপোখরিতে পৌঁছনোর পরে ওঁরা জঙ্গলে গিয়েছিলেন। কিন্তু জঙ্গলের এতটাই ভিতরে ওঁরা চলে গিয়েছেন যে ফিরে আসতে পারছেন না। শনিবার থেকে তাঁরা ওখানেই আছেন। রবিবার সকালে ফোন করে জানান যে একটি পাহাড় এবং ঝর্নার কাছে ওঁরা রয়েছেন। ওঁদের যেন উদ্ধার করা হয়। ওঁদের কাছে খাবার এবং পানীয় জল নেই।’’
বিষয়টি জানানো হয়েছে অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে। তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে। দীপেশ এবং বাবাইয়ের উপর ভরসা করে বেড়াতে গিয়েছিলেন ১৮ জন পর্যটক। তাঁরাও আতান্তরে পড়েছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
অশোকনগরের বিধায়কের কথায়, ‘‘দু’জন নিখোঁজ শুনেছি। পরে বিস্তারিত জানলাম যে, যাঁরা নিখোঁজ তাঁরা টুর অপারেটর। তাঁরা ১৫ জন পর্যটকের প্রত্যেকের থেকে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা নিয়েছেন বেড়াতে যাওয়ার জন্য। যাঁরা ওঁদের সঙ্গে গিয়েছেন তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন, ওখানে থানা-পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও ওই দু’জনের কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ টাকা নিয়েও টুর অপারেটররা পর্যটকদের জন্য কোনও হোটেলও বুক করেনি। ফলে যাঁরা বেড়াতে গিয়েছেন তাঁরা এখন বিপাকে পড়েছেন। আমি জেলাশাসক এবং বারাসতের পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। আমার ধারণা, এটা একটা প্রতারণা চক্র হলেও হতে পারে। এর তদন্ত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy