সংঘর্ষের-পরে: সোমবার। নিজস্ব চিত্র
দিন কয়েক আগে দলের রাজ্য সভাপতি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর নেতাকে ডেকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তারপরেও বাসন্তীতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত। সোমবার সকাল থেকে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তেতে ওঠে লেবুখালি এলাকা। দফায় দফায় বোমাবাজি চলে। ৪ জন জখম হন। ভাঙচুর হয়েছে ১৫টি দোকান, বাড়ি। দু’পক্ষের গোলমালের খবর পেয়ে এলাকায় আসেন এসডিও ধ্রুব দাস, সিআই রতন চক্রবর্তী।
বারুইপুর জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’পক্ষের চার জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকা থেকে প্রায় ২০টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মন্টু গাজি গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি আমান লস্কর গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল চলছে। কয়েকদিন আগে বাসন্তীর লেবুখালিতে অটো চালানোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি হয়। দু’টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের প্রধান আবতার মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, তিনি জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে ফের চমকাতে শুরু করেন। আবতার মোল্লা ব্লক সভাপতি মন্টু গাজির ঘনিষ্ঠ। এ দিন সকালে আবতারদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাতে যুব সভাপতি ঘনিষ্ঠ রমজান মোল্লারা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ।
মন্টু গাজির দাবি, ‘‘আমি দলের অনুশাসন মেনে কাজ করছি। তবে সিপিএম, আরএসপি থেকে আসা কয়েকজন আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করছে।’’ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি আমন লস্কর বলেন, ‘‘ওদের পাশে মানুষ নেই। তাই এলাকা দখল করতে ওরা আমাদের কর্মীদের উপরে আক্রমণ করছে।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাসন্তীতে যারা গোলমাল পাকাবে, তারা নিজের দায়িত্বে করবে। পুলিশকে যথাযত ব্যবস্থা নিতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy