Advertisement
০১ মে ২০২৪
Arsenic Poisoning

মাঝপথে থমকে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ, আর্সেনিকের আতঙ্কে ভুগছে জয়নগরের বহড়ু

দু’বছর আগে গ্রামে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই কাজ স্থগিত হয়ে রয়েছে। গ্রামবাসীদের বাধ্য হয়ে নলকূপের জল খেতে হচ্ছে। বাড়ছে আর্সেনিক আতঙ্ক।

Image of incomplete water tank

মাঝপথে থমকে জলের ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জয়নগর শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৩ ২০:১৩
Share: Save:

এলাকায় আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহের জন্য দু’বছর আগে জলের ট্রাঙ্ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই কাজ থমকে গিয়েছে। বিশুদ্ধ পানীয় জল না পাওয়ায় ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। পাশাপাশি, আর্সেনিক আতঙ্কেও ভুগছেন। কারণ, আপাতত নলকূপের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে৷ সেই জলে আর্সেনিক আছে কি না, তা না জেনেই সেই জল ব্যবহার করতে তারা বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের৷

জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের বহড়ু গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লভপুর এলাকায় ২০২১ সালে পুর্ত দফতরের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল জলের ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ ৷ এর আগে এই এলাকাতেই একটি জলের ট্যাঙ্ক ছিল৷ তা থেকেই এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ হত। কিন্তু কোনও কারণে পুরনো ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়ে। তার পর নতুন করে জলের ট্যাঙ্ক তৈরির উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। পূর্ত দফতরের উদ্যোগে জলের ট্যাঙ্ক তৈরির কাজও শুরু হয়৷ বেশ কিছুটা হওয়ার পর কয়েক মাস আগে বন্ধ হয়ে যায় কাজ৷ মালপত্রও সেখানেই পড়ে রয়েছে৷ ফলে বিশবাঁও জলে প্রকল্পের কাজ।

বহড়ুর বাসিন্দা বাবুসোনা দাস বলেন, ‘‘আমরা চাই, আগে যে রকম আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ হত, সে ভাবেই আমাদের আবার জল দেওয়া শুরু হোক। ট্যাঙ্কটা তৈরি হয়ে গেলে আমরা খুবই উপকৃত হব। এখন চাপাকলের জল খেতে হচ্ছে। এতে আর্সেনিক আছে কি না তা-ও জানি না।’’ একই কথা আর এক বাসিন্দা তরুণ দাসেরও। তিনি বলছেন, ‘‘বাধ্য হয়ে টিউবয়েলের জল খেতে হচ্ছে। তাতে আর্সেনিক আছে কি না তা কী করে জানব। ভয়ে ভয়ে জল খাই। আমাদের দাবি, জলের ট্যাঙ্কটি যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’’

কেন ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ বন্ধ তা নিয়ে অবশ্য প্রশাসন নিরুত্তর৷ বহড়ু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মতিবুর রহমান লস্কর বলেন, ‘‘কেন প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়েছে তার খবর আমাদের কাছে নেই। চেষ্টা করব যাতে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে কথা বলে প্রকল্পটি পুনরায় চালু করা যায়। এলাকাবাসী যাতে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল পান, সে জন্য চেষ্টা করব। আমরা সবে এখানে চার্জ পেয়েছি। আমাদের একটু সময় দিতে হবে। পরবর্তী সময় আমরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

water Tank
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE