হাতের-কাজ: তৈরি হচ্ছে অস্ত্র। নিজস্ব চিত্র
দাম বাড়ছে সব কিছুরই। কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির জেরে এ বছর প্রতিমার অস্ত্রের দামও বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছেন শিল্পীরা।
সারা বছর নানা পুজোয় দেবদেবীর অস্ত্রের চাহিদা থাকে। দুর্গাপুজোয় তা অনেক বাড়ে। বেশিরভাগ মণ্ডপে দুর্গাকে মহিষাসুরমর্দিনী রূপেই পুজো করা হয়। মায়ের দশ হাতের জন্য লাগে প্রায় ১০ রকমের অস্ত্র। এ ছাড়া, বাকি প্রতিমার হাতেও নানা অস্ত্র থাকে।
পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই জোরকদমে শুরু হয় কাজ। অশোকনগরের কল্যাণগড় এলাকায় এমনই বেশ কয়েকটি অস্ত্র কারখানা রয়েছে।
কী ভাবে তৈরি হয় প্রতিমার অস্ত্র?
কারখানার কর্মীরা জানালেন, প্রথমে টিনের শিট কিনে আনা হয়। বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের ছাঁচে সাহায্যে সেগুলি কাটা হয়। তারপরে নানা নকশা তৈরি হয়। এরপরে অস্ত্রগুলিতে পড়ে রঙের প্রলেপ।
অশোকনগরের এই কারখানা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ভিন্ রাজ্যেও অস্ত্র পাড়ি দেয়। কর্মীরা জানালেন, এ বছর অস্ত্র তৈরির কাঁচামালের খরচ এক লাফে অনেকটা বেড়েছে। তাই অস্ত্রের দামও বাড়বে।
সমীর পাল নামে এক অস্ত্র শিল্পী বলেন, ‘‘আগে যে শিটের দাম ১০০ টাকা ছিল, এ বার তা বেড়ে হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকা।’’ ভোলানাথ সাহা নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গে আমাদের তৈরি অস্ত্রের ভাল চাহিদা রয়েছে। তবে মাঝে অস্ত্র তৈরির কাঁচামালের অভাব দেখা গিয়েছিল। কাজও বন্ধ ছিল। এখন আবার কাজ শুরু হয়েছে।’’ শ্রমিকেরা জানালেন, পৌষ মাসের পর থেকে দুর্গার অস্ত্র তৈরির কাজ শুরু হয়। সরকারের তরফে কিছু আর্থিক সাহায্য পেলে এই শিল্পে আরও মানুষ স্বনির্ভর হতে পারতেন।’’
অস্ত্র তৈরি করেই সংসার চালান দীপা দাস। তাঁর কথায়, ‘‘আমি মূলত অস্ত্র রঙ করা, প্যাকেট করার কাজ করি। যা আয় হয় তাতে কোনও রকমে সংসার চলে। তবে আমার হাতে তৈরি অস্ত্র মা দুর্গার হাতে ওঠে, এটা ভেবেই মন ভাল হয়ে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy