উদ্ধার: অ্যালকোহলের ব্যারেল। নিজস্ব চিত্র
কেরোসিন তেলের জারে প্রচুর পরিমাণে হোমিওপ্যাথি তৈরির অ্যালকোহল মজুত করে রাখা হয়েছিল একটি গুদামে। বাজার থেকে কেনা নামী হোমিওপ্যাথির ওষুধের শিশিতে সেই ‘র’ অ্যালকোহল মেশানো হতো বলে অভিযোগ। সোমবার বিকেলে কাকদ্বীপের আবগারি কর্তারা হানা দেন ওই গুদামে। ধর-পাকড় করতেই সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ল বেশ কয়েক ব্যারেল অ্যালকোহল। অত পরিমাণ অ্যালকোহল সেখানে মজুত রাখার কথাই নয়।
গোপন সূত্রে খবর ছিল, কাকদ্বীপ চৌমাথার কাছে এক ওষুধের কারখানায় প্রচুর বেআইনি অ্যালকোহল জমা করে রাখা হচ্ছে। সোমবার বিকেলে সেখানে হানা দিয়ে অ্যালকোহলের জার উদ্ধার করেন আবগারি কর্তারা। সন্ধের পর হারউড পয়েন্ট উপকূল থানা এলাকায় বিবেকানন্দ পঞ্চায়েতের সন্তোষপুরে একটি মাঠের পাশে একটি তিনতলা বাড়িতে আরও বেশ কিছু অ্যালকোহলের ব্যারেল উদ্ধার হয়। রাত পর্যন্ত সেখানে অভিযান চলে। বাড়ি এবং কারখানার মালিক রাজকুমার তামেলিকে আটক করেন আবগারি কর্তারা।
কী ভাবে চালানো হতো কারবার? আবগারি কর্তারা জানাচ্ছেন, ওই কারখানার এক কর্মী বিষয়টি আবগারি কর্তাদের নজরে আনেন। তাঁর নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ না করলেও এক আবগারি কর্তা জানান, ‘‘অ্যালকোহলের মধ্যে নানারকমের ভেষজ মিশিয়ে জাল হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরি করা হতো। আসল হোমিওপ্যাথি অনেকটা দামি। সেই কারণে অ্যালকোহল মিশিয়ে বেশি মুনাফার চেষ্টা চলত।’’ সেই ওষুধ বাজারে বিক্রি করা হতো বাজার চলতি হোমিওপ্যাথি ওষুধের দামেই। এ সব অভিযোগ এখনও প্রাথমিক স্তরেই রয়েছে। মালিক ছাড়াও ওই দোকানের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আবগারি কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy