Advertisement
E-Paper

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে বাতাস কল

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অপ্রচলিত শক্তি বিকাশ সংস্থার (ওয়েবরেডা) উদ্যোগে প্রায় ১৭ বছর আগে বকখালি ও ফ্রেজারগঞ্জে সৈকতের একেবারে কাছে বসানো হয় ৮টি বাতাস কল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৭ ০২:০০
নষ্ট: ছবি: শান্তশ্রী মজুমদার

নষ্ট: ছবি: শান্তশ্রী মজুমদার

কোনও স্তম্ভের পাখা ভেঙে গিয়েছে। কোনওটাতে মরচে ধরেছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে ফ্রেজারগঞ্জ ও বকখালির বাতাস কলগুলি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ দফতরের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘ওই প্রকল্পের সঙ্গেই নতুন অপ্রচলিত শক্তি প্রকল্প চালু করা হবে ফ্রেজারগঞ্জে।’’ তবে দীর্ঘদিন ধরে বাতাস কলগুলি অব্যবহৃত থাকায় ক্রমশ অকেজো হয়ে পড়ছে।

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অপ্রচলিত শক্তি বিকাশ সংস্থার (ওয়েবরেডা) উদ্যোগে প্রায় ১৭ বছর আগে বকখালি ও ফ্রেজারগঞ্জে সৈকতের একেবারে কাছে বসানো হয় ৮টি বাতাস কল। ভালই চলছিল সব কিছু। এক একটি থেকে ২৫০ কিলোওয়াট করে বিদ্যুৎও উৎপাদন হচ্ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেগুলি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। বিদ্যুৎ উৎপাদন ঠিকমতো না হওয়ায় গত দু’বছর ধরে বাতাস কলগুলি চালানো থেকে বন্ধ করে দেওয়া ভাল বলে মনে করছেন ইঞ্জিনিয়ররা।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সেগুলিকে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানিকে হস্তান্তর করার প্রস্তাব নিয়েও এগোচ্ছিল সরকার। কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ররা গত দু’বছরে তিন বার পরিদর্শনও করেছেন। কিন্তু তারপর আর কাজ এগোয়নি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকায় কলগুলির যন্ত্রপাতি কী অবস্থায় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে আর তৃতীয় এক বিশেষজ্ঞ সংস্থার প্রয়োজন। তা কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে। কিন্তু সমন্বয়ের অভাবে তাদের এনে দেখানোর কাজ হচ্ছে না। তাই বন্ধ হয়ে রয়েছে হস্তান্তর প্রক্রিয়াও।

যদিও বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, মাঝেমধ্যে বাতাস কম থাকলে হওয়া কলের যন্ত্রপাতিগুলি চালাতে বিদ্যুতের প্রয়োজন। ওই ১১০০০ ভোল্টের হাইটেনশন লাইন মেরামতির কারণে হাওয়া কলগুলি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার কাকদ্বীপ সাবস্টেশনের সঙ্গে এই হাওয়া কলগুলি যুক্ত রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে সেই সাবস্টেশনেই দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ররা জানিয়েছেন, হাওয়া কলগুলি ঠিক মতো না চললে ওই কলের যন্ত্রপাতিগুলি সচল রাখতে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা থেকে উল্টে বিদ্যুৎ নিতে হবে।

কিন্তু কলগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না কেন? সে প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি। বিদ্যুৎ দফতরের মন্ত্রী তথা ওয়েবরেডার চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাওয়া কলের প্রকল্প খুব একটা লাভজনক হয়নি আমাদের রাজ্যে। তবে কলগুলির পাশে সৌর বিদ্যুতের প্রকল্প করা যায় কি না সেটা দেখা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, এখন উপকূল নিয়ন্ত্রণ আইনে অনেক বিধি নিষেধ রয়েছে। তাই কাজ এগোতে একটু সময় লাগবে।

Wind Mill maintenance Wasted বাতাস কল ফ্রেজারগঞ্জ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy