প্রতীকী ছবি।
সকাল সাড়ে ৬টা। আচমকাই উপর থেকে ভারী কিছুর নীচে পড়ার আওয়াজে চমকে উঠেছিলেন বহুতল আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা। মূল গেটের সামনে থেকে ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখেন, আবাসন চত্বরের চাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক মহিলা। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরের বনহুগলিতে।
পুলিশি সূত্রের খবর, মৃতার নাম অন্নপূর্ণা দে চৌধুরী (৪৫)। ওই মহিলা টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গিয়েছেন, না কি ঝাঁপ দিয়েছেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, বনহুগলির ওই আবাসনের প্রতিটি বহুতলই ছাব্বিশতলা করে। তারই একটির উনিশতলায় থাকেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিক অসীম দে চৌধুরী। তাঁরই স্ত্রী অন্নপূর্ণা। তিনিও ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। ওই দম্পতির ছেলে পড়াশোনার জন্য হস্টেলে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এ দিন সকালে ফ্ল্যাটের বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছিলেন ওই মহিলা। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ দেখেছে, প্রতিটি বারান্দাতেই প্রায় চার ফুটের মতো রেলিং রয়েছে। তা টপকেই নীচে পড়েন অন্নপূর্ণা।
ঘটনার পরেই ছুটে আসেন আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা। আওয়াজ শুনে বেরিয়ে আসেন অন্যান্য ফ্ল্যাটের লোকজনও। নেমে আসেন অসীমও। কংক্রিটের চাতালেই চিৎ হয়ে পড়েছিলেন ওই মহিলা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি চলে আসে বরাহনগর থানার পুলিশ। ওই মহিলাকে বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এমনকি, অন্নপূর্ণার বাবা-মায়ের দিক থেকেও পরিজনেরা থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। বরং সম্প্রতি ওই মহিলার সামান্য মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলেই তদন্তকারীদের জানানো হয়েছে। এ দিন বিষয়টি নিয়ে অসীম কিংবা ওই আবাসনের কেউ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy