জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানায়। মারধরের ফলে ওই মহিলার গর্ভস্থ বাচ্চাটি নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগ। এ নিয়ে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও কেউ ধরা পড়েনি বলে জানিয়ছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা থানার বাজার পাড়া এলাকায় ৫ বিঘের মতো একটি জমি রয়েছে। সেই জমির এক কোণে কাঠা দেড়েক জমিতে বাপ্পা ঘোষ নামে এক গাড়ি ব্যবসায়ী বর্গাদার হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছেন। দেগঙ্গা থানায় দায়ের করা অভিযোগে বাপ্পার দাবি, ১২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কয়েক জন প্রতিবেশী যুবক তাঁর বাড়িতে এসে জানায়, তাঁরা জমিটি কিনেছেন। সেখান থেকে উঠে যেতে হবে।
এ দিন বাপ্পা ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষ জানান, এই নিয়ে তাঁদের সঙ্গে ওই যুবকদের বচসা বাধে। হঠাৎই তাঁরা বাপ্পাকে মাটিতে ফেলে মারধর শুরু করে। স্বামীকে মারধর করতে দেখে বাঁচাতে যান সঙ্গীতাদেবী। তাঁর কথায়, ‘‘এরপরেই ওই যুবকেরা আমাকে মারতে থাকে। আমি জানাই আমি অন্তঃসত্ত্বা। তবু ওরা আমার পেটে ঘুসি, লাথি মারতে থেকে।’’
স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে দেখানো হয় সঙ্গীতাদেবীকে। কিন্তু তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ১৮ ফেব্রুয়ারি বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সঙ্গীতাদেবীকে। মহিলার গর্ভস্থ মাস দু’য়েকের সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। গর্ভপাত করে সঙ্গীতাদেবীকে কোনওমতে রক্ষা করা হয়।
পর দিন হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ জানান তাঁরা। কিন্তু ধরা পড়েনি অভিযুক্তদের কেউই। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে তাঁরা।
কিন্তু এত দিন পুলিশ অভিযুক্তদের ধরল না কেন?
সঙ্গীতেদেবীর কথায়, ‘‘থানায় অভিযোগ জানানোর পরে অভিযুক্তেরা এসে ক্ষমা চায়। ওরা ক্ষতিপূরণ দেবে বলেও জানায়। তাই আমরা চুপচাপ ছিলাম।’’ ওই মহিলা এ দিন আরও জানান, কিন্তু ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা, ওরা কিছুই করেনি।’’ ফলে শুক্রবার বারাসত হাসপাতালের সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়ে দেগঙ্গা থানায় ফের অভিযোগ জানিয়েছে ওই পরিবার। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বারাসতের এসডিপিও গণেশ বিশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy