এখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে দেহ। — নিজস্ব চিত্র।
লোক লাগিয়ে স্বামীকে খুন করানোর অভিযোগে মহিলাকে আটক করল পুলিশ। ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ওই মহিলার বাড়ি ভাঙচুর করেন। তাঁকে মারধরও করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ার তারাগুনিয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সিরাজুল মোল্লা (৪০)। তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার পূর্বকারিগর পাড়ায় বাড়ি সিরাজুলের। তিনি ইটভাটায় কাজ করতেন। বছর কয়েক আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দু’টি সন্তান আছে। তারাগুনিয়া গ্রামে স্ত্রীর বিশাল পাঁচিল ঘেরা দোতলা বাড়ি। মহিলা ঝাড়ফুক করতেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই বাড়িতে কী হতো, তা নিয়ে অনেকেরই নানা সন্দেহ আছে।
গ্রামবাসীরা জানান, বহিরাগত কিছু লোকের সঙ্গে সিরাজুলের এই স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা আছে, এই অভিযোগে এর আগে নানা অশান্তি হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় সে বারও ওই মহিলাকে মারধর করা হয়। গ্রামে সালিশি বসে। স্ত্রীর এ সব কাজ পছন্দ করতেন না সিরাজুলও। তা নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হতো। মঙ্গলবার ভোরে লরি থেকে ইট নামাতে গিয়েছিলেন সিরাজুল। তারপর আর ফেরেননি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি আমগাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের মানুষ।
নিহতের মা রাবিয়া বিবি বলেন, ‘‘অপরিচিতদের সঙ্গে বৌমার মেলামেশা মানতে পারেনি ছেলে। সে কারণে খুনের হুমকি দেওয়া হতো।’’ স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, সিরাজুলের দেহ উদ্ধারের খবর রটে যেতেই তাঁর স্ত্রী একটি গাড়িতে উঠে এলাকা ছাড়ায় চেষ্টা করেন। লোকজন গাড়ি থেকে নামিয়ে পেটায় তাঁকে।
সিরাজুলের স্ত্রী অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy