ধৃত: তাপস দাস
ছোট থেকে মানুষ করেছিলেন মামি। সেই মামিকেই শ্বাসরোধ করে খুন করল ভাগ্নে বলে অভিযোগ।
বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গোপালনগরের কামদেবপুর এলাকায়। রাতেই তাপস দাস নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মিনতি দাসের (৫০) স্বামী মাধবের অভিযোগের ভিত্তিতে তাপসকে ধরা হয়। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকে তাপস মামা-মামির কাছে মানুষ। ওই দম্পতির সন্তান ছিল না। তাপসকেই তাঁরা নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করেছেন। তাপস আনাজের কারবার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুরে মাধব বাড়ি ফিরে দেখেন স্ত্রী ঘরের মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাননি তিনি। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে মিনতিকে খুন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে স্ত্রীর দেহ নিতে এসে মাধব ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কোনও সন্তান না থাকায় দেড় বছর বয়সে তাপসকে নিয়ে এসেছিলাম। সে এমন কাজ করতে পারে ভাবতে পারিনি।’’
কী কারণে মামিকে খুন করল তাপস?
প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মামির সঙ্গে তাপসের নানা কারণে সম্প্রতি বনিবনা হচ্ছিল না। তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, ‘‘মাধব অসুস্থ। তাপসের মনে হয়েছিল মামিকে সরিয়ে দিতে পারলে সমস্ত সম্পত্তির উপর সে দখল নিতে পারবে। সে কারণেই খুন করতে পারে তাপস।’’ পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy