Advertisement
E-Paper

বিএসএফের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু, বিক্ষোভ

বিএসএফের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা বাজারের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মিরাজুল সরকার (২১)। বাড়ি বারাসতের গোলাবাড়ি এলাকায়। এই ঘটনার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার এবং মৃত ও আহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে জনতা দফায় দফায় টাকি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভের জেরে টাকি রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আশ্বাস দিলে তাঁরা অবরোধ তুলে নেয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১২
তখনও উত্তেজনা অব্যাহত। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

তখনও উত্তেজনা অব্যাহত। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

বিএসএফের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা বাজারের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মিরাজুল সরকার (২১)। বাড়ি বারাসতের গোলাবাড়ি এলাকায়। এই ঘটনার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার এবং মৃত ও আহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে জনতা দফায় দফায় টাকি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভের জেরে টাকি রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আশ্বাস দিলে তাঁরা অবরোধ তুলে নেয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরাজুল গাড়ির খালাসির কাজ করতেন। বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয় ওই যুবকের। তাঁর স্ত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা। এ দিন বন্ধু মতিয়ার রহমানকে সঙ্গে নিয়ে একটি মোটরবাইকে মিরাজুল গাড়ির যন্ত্রপাতি কিনতে গিয়েছিলেন বেড়াচাঁপায়। দুপুর আড়াইটে নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে দেগঙ্গা বাজারের কাছে রাস্তার পাশে একটি সিনেমা হলের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন তিনি। পাশে তাঁর বন্ধুও ছিলেন। সে সময়ে বসিরহাটের দিক থেকে আসা একটি বিএসএফের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে মোটরবাইকে। দুই বন্ধু রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মিরাজুলের। গুরুতর আহত মতিয়ারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিএসএফের গাড়ি বলে প্রশাসনের কেউ তাদের আটকায়নি।

পুলিশ জানায়, এই ঘটনার পর গোলাবাড়িতেও ইট, গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। সাড়ে ৫টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নিজামউদ্দিন গাজি, গোপাল মজুমদার বলেন, ‘‘রাস্তার বাঁকের মুখে জোরে গাড়ি চালানোর জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এখানে হাম্প করা জরুরি।’’ কিন্তু বিএসএফের গাড়ি বলে পুলিশ প্রশাসন চালককে ধরেনি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বারাসাত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তল্লাসি শুরু করেছে পুলিশ। মিরাজুলের বোন সাবিকুন নাহার বলেন, ‘‘আমাদের অভাবের সংসার। দাদার রোজগারে কোনও রকম চলত। একটা গাড়ি আমাদের সকলকে অনাথ করে দিল।’’

BSF Deganga police Barasat Basirhat cinema hall
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy