বিডিও দফতরের সামনে বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীরা। ছবি: সামসুল হুদা।
তফসিলি জাতি-উপজাতির শংসাপত্র তোলার জন্য লাইন পড়েছিল বিডিও অফিসের সামনে। ঘোষণা করা হয়, ফর্ম তুলতে হবে অনলাইন। এ দিকে, রোদ্দুর মাথায় নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে এ কথা শোনায় উত্তেজনা ছড়ায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। বিডিওকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং ১ ব্লক অফিসের সামনে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফর্ম হাতে হাতে জমা নেওয়ার ফলে নানা সমস্যা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারিয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া, ওই পদ্ধতিতে শংসাপত্র পেতেও সময় লাগে। তাই এ বার থেকে ফর্ম অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে পূরণ করার প্রক্রিয়া চালু করা হল। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যবস্থাটি কার্যকর করা হয়েছে বলেন ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য।
ক্যানিংয়ের হরিহর মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী বাপ্পা নস্কর, শম্পা পুরকাইতরা বলে, “আগের বছর ফর্ম ফিলাপ করার পরেও এখনও পর্যন্ত শংসাপত্র পাইনি। আবার আমাদের এখন নতুন করে ফর্ম ফিলাপ করতে হচ্ছে।” শংসাপত্র এ বছরও পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে আছে এই ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের লাইন দেয় তারা। কিন্তু অফিস খোলার পরে তারা জানতে পারে, অনলাইনেই ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। বিডিও বুদ্ধদেব দাস তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁকে ঘেরাও করা হয়। মহকুমাশাসক বলেন, “অনলাইন করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। কারণ প্রায়ই আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে, এই পদ্ধতিতে শংসাপত্র পেতে দেরি হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে দ্রুত কাজ হবে।” তিনি জানান, জেলার অন্য মহকুমায় অনেক দিন আগেই সরকারি নির্দেশে অনলাইনে ফর্ম পূরণ চালু হয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy