Advertisement
E-Paper

আন্দামানের মা-মেয়ে খুন সন্দেশখালির গ্রামে

রাস্তার ধারে ঝোপ থেকে মহিলাকণ্ঠের গোঙানি শুনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন সাইকেলচালক। খবর দেন গ্রামবাসীকে। বুধবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দুর্গামণ্ডপ গ্রামে সেই ঝোপ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক মহিলাকে। একটু দূরেই মেলে বছর বারোর এক বালিকার রক্তাক্ত দেহ। মিনাখাঁ হাসপাতালে মৃত্যুর আগে ওই মহিলা কোনওমতে জানান, বালিকা তার মেয়ে। তাঁরা আন্দামানের বাসিন্দা। তদন্তে নেমে মহিলার পরিচয় জেনেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:১৪

রাস্তার ধারে ঝোপ থেকে মহিলাকণ্ঠের গোঙানি শুনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন সাইকেলচালক। খবর দেন গ্রামবাসীকে। বুধবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দুর্গামণ্ডপ গ্রামে সেই ঝোপ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক মহিলাকে। একটু দূরেই মেলে বছর বারোর এক বালিকার রক্তাক্ত দেহ। মিনাখাঁ হাসপাতালে মৃত্যুর আগে ওই মহিলা কোনওমতে জানান, বালিকা তার মেয়ে। তাঁরা আন্দামানের বাসিন্দা। তদন্তে নেমে মহিলার পরিচয় জেনেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মা-মেয়ের সঙ্গে এক পুরুষকেও দুর্গামণ্ডপ গ্রামে দেখা গিয়েছিল। তারই খোঁজ চলছে। ইতিমধ্যে আন্দামান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, দুর্গা রায় নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলার বাড়ি দক্ষিণ আন্দামানে। তাঁর মেয়ের নাম এখনও জানা যায়নি। দু’জনেরই মাথা, মুখ-সহ শরীরের নানা জায়গায় ধারালো অস্ত্রের ক্ষতচিহ্ন ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। অল্পক্ষণের মধ্যে মারা যান মহিলা। দেহ দু’টি ময়না-তদন্তের জন্য বসিরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কেন ওই দু’জনকে কোপানো হল, তা নিয়ে পুলিশ এখনও অন্ধকারে। তাদের অনুমান, সন্দেশখালির এই এলাকায় পরিচিত কারও কাছে এসেছিলেন মা-মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাদেবীর পরনে ছিল কমলা-কালো সালোয়ার-কামিজ। তাঁর মেয়ে পরেছিল সবুজ-কালো টি-শার্ট ও নীল-কালো ছোপছোপ প্যান্ট। তার হাতে ছিল গোলাপি দস্তানা। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি জ্যাকেটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তারা জেনেছে, বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ জেলিয়াখালি-শুকদোয়ানির মাঝে, বালিয়া নদী পেরিয়ে দুর্গামণ্ডপ গ্রামে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল মা-মেয়েকে। সে সময়ে তাঁদের সঙ্গে মাঝবয়সী একটি লোক ছিল। তার হাতে একটি বড় ব্যাগ ছিল। পুলিশের ধারণা, এই জোড়া খুনের সঙ্গে ওই ব্যক্তির কোনও না কোনও যোগ আছে।

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “আমাদের ধারণা, লোকটি এলাকা ছেড়ে বেরোতে পারেনি। ওর খোঁজ চলছে।”

durga roy sandeshkhali andaman murder double murders
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy