বসিরহাটের ইছামতী সেতু।
খেলাধুলায় আগ্রহ কমছে এ প্রজন্মের
‘আমার শহর’ পড়ে নিজের এলাকা সম্পর্কেই নানা ভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছি। দীর্ঘ দিনের সমস্যাগুলি যেমন এই বিভাগে বিস্তারিত উল্লেখ করা হচ্ছে, পাশাপাশি পুরনো বসিরহাট সম্পর্কেও নানা উল্লেখযোগ্য তথা পাওয়া যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই বসিরহাটের খেলাধূলার ইতিহাস সম্পর্কে সামান্য দু’চার কথা বলতে চাই। বাঙালি বরাবরই ইতিহাস বিমুখ। বসিরহাটও তার ব্যতিক্রম নয়। যে কারণে বসিরহাটে খেলাধূলার সার্বিক ইতিহাস সংগ্রহ করা একটা বেশ কঠিন কাজ। ১৯৩৩-৩৪ সাল নাগাদ বসিরহাট ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গড়ে ওঠে। ১৯৫৮ সালে বর্তমান ক্রীড়া সংস্থা গড়ে ওঠে। ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, অ্যাথেলেটিক্সেও অনেকে নানা সময়ে এই শহরের নাম উজ্জ্বল করেছেন। তবে খেলাধূলায় যতটা উন্নতি হওয়ার কথা ছিল, ততটাও হয়নি। ইদানীং ছেলেমেয়েদের মধ্যে খেলাধূলা নিয়ে আগ্রহ কমছে। প্রিমিয়ার ডিভিশন, সুপার ডিভিশন, প্রথম ডিভিশন-সহ টুর্নামেন্টের নানা গালভরা নাম চালু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু দলের সংখ্যা নগণ্য। ক্রিকেট বা ভলিবলে বরং অনেক দল যোগ দেয়। কিন্তু খেলার মান খুব উল্লেখযোগ্য নয়। অ্যাথেলেটিক্স বা ব্যাডমিন্টনে বিভিন্ন বিভাগে দু’এক জন উঠে আসে। তবে জেলা সদরের উপরে তারা উঠতে পারে না। সাঁতারের অবস্থাও তথৈবচ। প্রতিযোগিতা হয় হাতে গোনা কয়েক জন সাতারুকে নিয়ে। এখানে ধারাবাহিক ভাবে ক্রীড়া সংস্থাগুলি কোনও কোচিং করান না। টেবিল টেনিসের বোর্ড ঘরে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
কালীদাস মজুমদার ক্রীড়া সংগঠক, টাউনহল
ভাল মাঠ চাই
ভাল ম্যাচ হওয়ার ক্ষেত্রে ভাল মাঠের সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। আগে বসিরহাট হাইস্কুল মাঠে সব খেলা হত। সংস্কারের অভাবে ওই মাঠে এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। ভ্যাবলা স্কুলের মাঠেরও একই অবস্থা। সে জন্য বসিরহাট শহরে অবিলম্বে দু’টো ভাল মাঠের প্রয়োজন। ভলিবল খেলারও উপযুক্ত কোনও মাঠ নেই। টাউনহল মাঠের সংস্কার করে ভলিবল প্রতিযোগিতার করা যেতে পারে।
তিলক বসু, ক্রীড়া সংগঠক, সাইঁপালা
উড়ালপুল হয়নি
‘আমার শহর বসিরহাট’ বিভাগে শহরের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যা প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই শহরের আরও সমস্যার কথা উল্লেখ করা দরকার। শহরের যানজট এড়ানোর জন্য বিকল্প রাস্তা হল না। রেললাইন পেরতে উড়ালপুল নেই। ত্রিমোহনীতে ট্র্যাফিক সমস্যা মুক্তির উপায় কী? আছে নিকাশির সমস্যাও। ব্রিজ-সংলগ্ন অঞ্চলে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা দরকার।
মানস বিশ্বাস, ক্রীড়া সংগঠক
চর্চার প্রয়োজন
সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে আগে নাম ছিল বসিরহাটের। কবি সম্মেলন বা সাহিত্য আসর বসত। সে সব এখন অনেক কমেছে। এখন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় সকলেই কলকাতা শহরমুখী হতে চাইছে। নিজেদের এলাকার কৃষ্টি-সংস্কৃতি নিয়ে ছেলেমেয়েদের আগ্রহ কম। এ জন্য এই এলাকার শিল্পী-সাহিত্যিকদের উদ্যোগী হতে হবে।
তরুণতপন বিশ্বাস, সাহিত্যিক, নৈহাটি
বদলাচ্ছে শহর
এলাকার মাঠ, পুকুর, জলাজমি সব ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সে সবকে কেন্দ্র করে রক্তারক্তি, হানাহানি চলছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দেখতে দেখতে শহরটা অন্য রকম হয়ে যাচ্ছে। ‘আমার শহর’ বিভাগে নিজের শহরের পুরনো মেজাজটা আবার অনেক দিন পরে পেলাম।
অধীর পাল, গ্রন্থাগারিক, টাকি
ছিনতাই বাড়ছে
দিন দিন চুরি-ছিনতাই বাড়ছে এলাকায়। এ ব্যাপারে পুলিশের আরও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। না হলে অনেক ক্ষেত্রে নাগরিকরা আতঙ্কিত বোধ করছেন।
রত্না বাছার। গৃহবধূ। স্টেশনপাড়া
ঢালাই পিচ চাই
পাড়ায় পাড়ায় ক্রিকেট খেলার ঝোঁক কমছে। এই খেলায় উন্নতি করতে গেলে কংক্রিটের পিচ জরুরি। কিন্তু বসিরহাটের অধিকাংশ জায়গাতেই নেই।
তৃপ্তি ব্রহ্ম ও রক্তিম বসু, ক্রিকেটার।
নিরাপত্তার দাবি
মহিলাদের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করতে আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত পুলিশ-প্রশাসনের। বিভিন্ন রাস্তায় জল জমার সমস্যারও সুরাহা দরকার।
কৃষ্ণা মণ্ডল, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বদরতলা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy