অভিনব উপায়ে জল সংগ্রহ। ছবি: অরুণ লোধ।
দিনে দু’ বার জল দেয় কলকাতা মেট্রোপলিটন ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন অথরিটি (কেএমডব্লিউএসএ)। কিন্তু চাপ বেশ কম। কিন্তু মুশকিল আসানের উপায় আছে বাসিন্দাদের কাছে। তাঁদের আছে ‘হ্যান্ড টিউবওয়েল’! এ ছবি বজবজ পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকার।
কী এই ‘হ্যান্ড টিউবওয়েল’? কাঠের উপরে বসানো দেড় ফুট উচ্চতার মোটা প্লাস্টিকের অবিকল একটি টিউবওয়েল। সঙ্গে থাকে আড়াই ফুটের পাইপ। বজবজ পুরসভা দু’নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মন্টু সাহা জানান, দিনে দু’বার খুব সরু ভাবে জল আসে। ফলে প্রত্যেকেরই জল নিতে সমস্যা হত। এর সমাধান করতে গিয়েই ওই হ্যান্ডপাম্প কিনে তার সঙ্গে পাইপ লাগিয়ে একটি কাঠের উপর পেরেক সাঁটিয়ে তৈরি হয়েছে ‘হ্যান্ড টিউবওয়েল’।
এখন কলে জল চলে যাওয়ার পরেও বেশ কিছু ক্ষণ জল পেয়ে যান বাসিন্দারা। হ্যান্ড পাম্পের পাইপ কলের মুখে লাগিয়ে বাইরে থেকে একটু জল টিউবওয়েলের মধ্যে ঢেলে পাম্প করলেই হু হু করে বেরিয়ে আসে জলধারা। বজবজের বিভিন্ন দোকানে দেদার বিক্রি হচ্ছে এই হ্যান্ডপাম্প বলে জানান এক বিক্রেতা।
সুভাষ উদ্যানের বাসিন্দা এক তরুণী বলেন, “পুরসভার কলের জলের বেগ ভীষণ কম। এই পাম্প লাগানোয় জল ঠিক মতো আসছে। অল্প পাম্প করতে হয়।”
আছে অন্য সুবিধাও। বাসিন্দারা জানান, এখানে বেশিরভাগ কলেরই ট্যাপ নেই। জল নষ্ট হয়। হ্যান্ডপাম্প লাগানো থাকলে তা হয় না।
এই উদ্যোগকে কী ভাবে দেখছেন পুরকর্তারা? এ প্রসঙ্গে বজবজ পুরসভার উপপ্রধান তৃণমূলের গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘পুর এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে এটা অস্বীকার করা যায় না। ফলে সেই সমস্যা মেটাতে আমরাও চেষ্টা করছি। বাসিন্দারাও যদি নিজেদের মত করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করে তবে তো ভালোই! এতে বেআইনির কিছু নেই।” এই প্রসঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি নয় কেএমডব্লিউএসএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy