সীমান্ত বাণিজ্যের গাড়ি থামিয়ে চালকের কাছ থেকে টাকা এবং মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন ট্রাক চালক ও খালাসিরা। শুক্রবার সকালে বসিরহাটের ইটিন্ডার কলবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভের জেরে ওল্ড সাথক্ষিরা রাস্তা দিয়ে ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১২টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় অবরোধ ওঠে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ঘোজাডাঙা সীমান্তের ওল্ড সাথক্ষিরা রাস্তায় বাণিজ্যের ট্রাক দাঁড় করিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠছিল। শুক্রবার ভোরে কলকাতা থেকে ভুট্টা-বোঝাই একটি ট্রাক আটকে চালক রবীন্দ্র মণ্ডলের কাছ থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার প্রতিবাদেই এ দিন ট্রাক চালক এবং খালাসিরা রাস্তা অবরোধ করেন। তাঁদের বক্তব্য, সীমান্তের রাস্তায় একটি চক্র নিয়মিত তোলা আদায় শুরু করেছে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চালকদের মারধর করা হচ্ছে। ছিনতাইও চলছে। রবীন্দ্রবাবু বলেন, “ঘোজাডাঙার দিকে ট্রাক নিয়ে যাওয়ার সময়ে ভোরের দিকে কয়েক জন আমার গাড়ি আটকায়। তারা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সঙ্গে থাকা থাকা টাকা এবং মোবাইল কেড়ে নেয়। বাধা দিতে গেল মারধর পর্যন্ত করে।” দুষ্কৃতীদের ধরতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তোলা চেয়ে মারধর। তোলা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীকে মারধর করে তাঁর দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েক জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। হাসনাবাদ থানার ঘোষালআটি গ্রামে বাড়ি ওই ব্যবসায়ীর নাম মনিরুল গাজি। মডেল বাজারে তাঁদের পরিবারের কয়েকটি দোকান আছে। অভিযোগ, ব্যবসা করতে গেলে তোলা দিতে হবে, এই দাবিতে মনিরুলের উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গত ২৯ নভেম্বর তেলকলে থাকার সময়ে হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে টাকা দাবি করে। দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়। বাধা দিতে গেলে তাঁর বাবা এবং স্ত্রীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মনিরুলের স্ত্রীর দাবি, দুষ্কৃতীরা ক্যাশবাক্সের চাবি কেড়ে নিয়ে সেখান থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকী তাঁর গলা থেকে সোনার হার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই ঘটনার পরে স্বামী-শ্বশুরকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই ব্যবসায়ীর দাদা বাবলা গাজি বলেন, “দুষ্কৃতীদের ভয়ে প্রথমে থানায় অভিযোগ পর্যন্ত করতে সাহস হয়নি। শেষে গত ৩১ ডিসেম্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে দুষ্কৃতীরা দোকান খুললে খুনের হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে ব্যবসাপত্র বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি।” বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy