Advertisement
E-Paper

দিল্লির ভোটের ফল নিয়ে তরজা এ রাজ্যেও

দিল্লিতে বিজেপির শোচনীয় পরাজয় নতুন করে অক্সিজেন জোগাচ্ছে তৃণমূলকে। বিশেষত, সামনেই দু’টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের মুখে এ রাজ্যে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠা বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দিল্লির ভোটের ফল নতুন শক্তি জুগিয়েছে জোড়াফুল শিবিরকে। অন্য দিকে, বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করছেন, দিল্লি বিজেপির হারে এ রাজ্যের ভোটের ফলে কোনও প্রভাব পড়বে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৩৮

দিল্লিতে বিজেপির শোচনীয় পরাজয় নতুন করে অক্সিজেন জোগাচ্ছে তৃণমূলকে। বিশেষত, সামনেই দু’টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের মুখে এ রাজ্যে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠা বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দিল্লির ভোটের ফল নতুন শক্তি জুগিয়েছে জোড়াফুল শিবিরকে। অন্য দিকে, বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করছেন, দিল্লি বিজেপির হারে এ রাজ্যের ভোটের ফলে কোনও প্রভাব পড়বে না। আরও এক ধাপ এগিয়ে তাঁরা আরও বলছেন, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির উত্থান হলেও এ রাজ্যে সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত কিন্তু থমকে যাবে না।

মঙ্গলবার স্বরূপনগরের চারঘাট বাজারে বিজেপির বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “দিল্লিতে আপের কাছে শোচনীয় ভাবে হেরেছি। আপের উত্থানে কিন্তু সিবিআই তদন্ত বন্ধ হয়ে যাবে না। সারদার জাল থেকে বেরিয়ে আসবে, আর সরকার দর্শক হয়ে হাততালি দেবে, মোদী তা হতে দিতে পারেন না। সুপ্রিম কোটের নির্দেশে সিবিআইয়ের তদন্ত চলবে।”

পাল্টা বলতে ছাড়ছে না তৃণমূলও। এ দিনই বাদুড়িয়ার রামচন্দ্রপুরের হুগলি গ্রামে এক সভায় বসিরহাটের সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা ইদ্রিশ আলি বলেন, “কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে যে মানুষ নেই, তার জ্বলন্ত প্রমাণ দিল্লিতে বিরোধীদের ধুয়ে মুছে আপের জেতা।”

স্বরূপনগরের লবঙ্গ, কৈজুড়ি-সহ সীমান্তের একাধিক গ্রামে সভা করে এ দিন বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেবল মাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই প্রতিহিংসাপরায়ণ মোদী-অমিত শাহের কথায় সিবিআই চলছে। দিল্লিতে ওরা হাতে হাতে তার ফল পেয়েছে। মাত্র ন’মাসে মোদী ঝড় উধাও হয়ে গেছে। বিজেপি ভেন্টিলেশনে চলে গিয়েছে।” দিল্লিতে বিজেপির ভরাডুবি প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রীর বক্তব্য, “ঝাড়ু দিয়ে আম আদমি পার্টি পদ্মফুল সাফ করে দিয়েছে। এ বার জোড়া ফুলের ঝাড়ু দিয়ে বনগাঁ থেকে দূর করা হবে।”

এ দিন বিকেলে গাইঘাটার চাঁদপাড়ায় সভা করেন বিজেপি-র এক গায়ক নেতা কুমার শানু। সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। শানুকে গান শোনানোর অনুরোধ জানায় জনতা। রাহুলও বলেন, “সামনাসামনি শানুদার গান কখনও শুনিনি। অনুরোধ করছি, দাদা যেন গান শোনান।” শানুও তৈরি হয়েই এসেছিলেন। সঙ্গে নিজস্ব মিউজিক সিস্টেম ছিল। বলেন, “গান নিশ্চয়ই শোনাব। তবে কথা দিতে হবে, সুব্রতকে জেতাবেন।” এর পরেই শানু গান ধরেন। হিন্দি-বাংলা মিলিয়ে বেশ কয়েকটি গান শোনান তিনি।

রাহুলের গলায় অবশ্য গান নয়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ঝাঁঝ ছিল।

aap delhi vote bangaon basirhat southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy