Advertisement
E-Paper

দেড় বছরেও সাইকেল মেলেনি, বিক্ষোভ ছাত্রীদের

অন্য স্কুলের ছাত্রীদের সাইকেল মজুত রয়েছে নিজেদের স্কুলেই। অন্যান্য স্কুল থেকে ছাত্রীরা এসে নিয়েও যাচ্ছে সাইকেল। কিন্তু নিজেরাই সাইকেল পায়নি ক্যানিংয়ের দ্বারিকানাথ বালিকা বিদ্যালয়ের ২০১২ সালের নবম শ্রেণির ছাত্রীরা। সেই সময়ে তাদের সাইকেল দেওয়া হবে বলে স্কুলের কাছ থেকে নামও চেয়ে পাঠিয়েছিল সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর। তারপরে প্রায় দেড় বছর কেটেছে। নবম শ্রেণির ছাত্রীরা এখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৪ ০২:১০

অন্য স্কুলের ছাত্রীদের সাইকেল মজুত রয়েছে নিজেদের স্কুলেই। অন্যান্য স্কুল থেকে ছাত্রীরা এসে নিয়েও যাচ্ছে সাইকেল। কিন্তু নিজেরাই সাইকেল পায়নি ক্যানিংয়ের দ্বারিকানাথ বালিকা বিদ্যালয়ের ২০১২ সালের নবম শ্রেণির ছাত্রীরা।

সেই সময়ে তাদের সাইকেল দেওয়া হবে বলে স্কুলের কাছ থেকে নামও চেয়ে পাঠিয়েছিল সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর। তারপরে প্রায় দেড় বছর কেটেছে। নবম শ্রেণির ছাত্রীরা এখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। এখনও পাওয়া হয়নি সাইকেল। ২০১৩ সালের নবম শ্রেণির ছাত্রীদের সরকার সাইকেল বিতরণ করা শুরু করতেই ক্ষোভের মাত্রা বেড়েছে। সম্প্রতি সাইকেলের দাবিতে দু’দিন ক্লাস বয়কট করে বিক্ষোভ করেছে তারা। পাশাপাশি, অন্য স্কুলের ছাত্রীদের জন্য স্কুলে রাখা সাইকেলগুলিও তারা স্কুল থেকে বের করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ।

ওই স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়সী দাশগুপ্ত, মৌসুমী মল্লিক, লতিকা মণ্ডলেরা বলেন, “২০১২ সালে আমরা যখন নবম শ্রেণিতে পড়ছিলাম, তখন সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর আমাদের সাইকেল দেবে বলে স্কুলের কাছে নাম চায়। সেই মতো আমরা সমস্ত নথি জমা দিয়ে দিয়েছিলাম। সেই সাইকেল আজও পেলাম না আমরা। অথচ আমাদের আগের বছর ও পরের বছর যারা নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল, তারা সাইকেল পেয়েছে।” তাদের দাবি, অবিলম্বে তাদের সাইকেল দিক সরকার। তাদের দাবি, এ নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সব স্তরে জানিয়েছে তারা।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বেগম রোকেয়া বলেন, “ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হবে বলে দফতর থেকে নাম চাওয়া হয়েছিল। সেই মতো ২০১২ সালের নবম শ্রেণির ছাত্রীদের নামের তালিকা পাঠিয়েছিলাম আমরা। তা না পেয়ে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করেছে। ওদের দাবি ন্যায্য। তবে ওরা যেভাবে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে আন্দোলন করছে, তা সমর্থন করি না।” ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক অর্ণব রায় বলেন, “ছাত্রীদের দাবি ন্যায্য। সরকারের উচিত ওই ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া।

এ দিকে দ্বারিকানাথ স্কুলে মজুত রাখা সাইকেল নিতে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে অন্য স্কুলের ছাত্রীদের। ইতিমধ্যেই ক্যানিংয়ের ট্যাংরাখালি পরশুরাম যামিনীপ্রাণ হাইস্কুলের ছাত্রী রুকসানা শেখ, সেলিমা লস্করেরা সাইকেল না পেয়ে ফিরে গিয়েছে। তাদের ক্ষোভ, “আমরা সাইকেল নিতে এসেছিলাম। কিন্তু ওরা আমাদের সাইকেল নিয়ে যেতে দিল না।” বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানানো হবে বলে জানিয়েছে তারা।

ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, “সাইকেলের দাবিতে ওই স্কুলের ছাত্রীরা আন্দোলন করছে বলে জেনেছি। পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে কী করা যায় দেখছি।”

canning school student no cycle
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy