Advertisement
E-Paper

ফের উদ্ধার হল সোনার বিস্কুট, ধৃত

তেরোটি সোনার বিস্কুট-সহ তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বসিরহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম মহিদুল মণ্ডল, বসন্ত দাস ও নিতাইচন্দ্র পাল। মহিদুলের বাড়ি সীমান্তবর্তী চক্রগাছি গ্রামে। অন্য দু’জন সাহেস্থানগরের বাসিন্দা। বুধবার দুপুরে বসিরহাট গোপালপুর মোড় থেকে তাদের ধরা হয়। বসিরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ধরা পড়া সোনার বিস্কুটের বাজার মূল্য প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মোটরবাইকটি আটক করা হয়েছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৪ ০২:০৬
উদ্ধার হওয়া বিস্কুট।—নিজস্ব চিত্র।

উদ্ধার হওয়া বিস্কুট।—নিজস্ব চিত্র।

তেরোটি সোনার বিস্কুট-সহ তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বসিরহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম মহিদুল মণ্ডল, বসন্ত দাস ও নিতাইচন্দ্র পাল। মহিদুলের বাড়ি সীমান্তবর্তী চক্রগাছি গ্রামে। অন্য দু’জন সাহেস্থানগরের বাসিন্দা।

বুধবার দুপুরে বসিরহাট গোপালপুর মোড় থেকে তাদের ধরা হয়। বসিরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ধরা পড়া সোনার বিস্কুটের বাজার মূল্য প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মোটরবাইকটি আটক করা হয়েছে।’’

পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বাদুড়িয়ার কাটিয়াহাটে মোটরবাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল মহিদুল মণ্ডল। বেলা একটা নাগাদ তার মোটরবাইকে ওঠে বসন্ত ও নিতাই। তাদের কোমরে কাপড়ে বাঁধা ছিল সোনার বিস্কুট। বসিরহাটের ঘোড়ারস গ্রামে এক ব্যক্তির কাছে সেগুলি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাদের। তাদের নিরাপত্তা দিতে আরও একটা মোটরবাইকে তিন জন পিছু নিয়েছিল। পুলিশের কাছে খবর ছিল আগে থেকেই। দুপুর দেড়টা নাগাদ তারা যখন টাকি রাস্তা দিয়ে গোপালপুর মোড়ের কাছে পৌঁছয়, তখন বেশ কয়েকটি মোটরবাইকে সাদা পোশাকের পুলিশের একটি দল দুষ্কৃতীদের একটি মোটরবাইকটি ঘিরে ফেলে। রিভলভার বের করতেই ধরা দিতে বাধ্য হয় দুষ্কৃতীরা। তল্লাশি চালাতেই তাঁদের কাছ থেকে সোনার বিস্কুটগুলি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিস্কুটগুলির মোট ওজন প্রায় দেড় কেজি।

গত কয়েক মাসে বসিরহাটের স্বরূপনগরে সীমান্তরক্ষীদের তৎপরতায় বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১২ কিলোগ্রাম সোনা আটক করা হয়েছে। এক মহিলা-সহ ১০ জন পাচারকারীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কেন সোনা পাচার কমছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্ন ওঠে সীমান্তবর্তী এলাকার থানাগুলির ভূমিকা নিয়েও। তাই এ দিন সোনা পাচার হচ্ছে বলে খবর পাওয়ার পরে আর সময় নষ্ট করেননি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। সাদা পোশাকে পুলিশকর্মীদের নিয়ে গোপালপুর মোড়ে দুষ্কৃতীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

মহিদুল মণ্ডলের অবশ্য দাবি, কাটিয়াহাট এলাকা দিয়ে মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার পথে তার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা নিতাইচন্দ্র পাল এবং বসন্ত দাসের দেখা হয়। জরুরি প্রয়োজনে বসিরহাটের ঘোড়ারস গ্রামে দ্রুত পৌঁছে দিতে বলায় তাদের মোটরবাইকে তোলে সে। নিতাই ও বসন্তের দাবি, সীমান্ত এলাকার এক ব্যবসায়ী তাদের বলেছিল, কাপড়ে রাখা কিছু জিনিস পৌঁছে দিলে কয়েকশো টাকা দেবে। পুলিশ জানিয়েছে, সোনা পাচারে জড়িত মূল অভিযুক্তদের খুঁজে বের করা হবে।

gold biscuit arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy