যাতায়াত এই পথেই। —নিজস্ব চিত্র।
সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছে বসিরহাটের ঘোজাডাঙার ওল্ড সাতক্ষিরা রোডটি। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তার কারণে প্রায়ই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পণ্যবাহী ভারী লরির যন্ত্রাংশ।
মহকুমা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বসিরহাটের ইছামতী সেতু থেকে ইটিন্ডার ঘোজাডাঙা সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার ওল্ড সাতক্ষিরা রাস্তাটি বেহাল। বেশির ভাগ জায়গাতেই পাথর ও পিচ উঠে গিয়ে বড় ডোবার চেহারা নিয়েছে। বর্ষায় অবস্থা আরও খারাপ প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ছে পড়ুয়ারা। লরি চালকদের ক্ষোভ, প্রায়ই গাড়ির যন্ত্রাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাস্তার জন্য মুমূর্ষু রোগীকে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ছে। হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মারা যাচ্ছে রোগী।
বৃহস্পতিবার রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ঘোজাডাঙার নাকুয়াদহ চৌরঙ্গী বাজারের কাছে ওল্ড সাতক্ষিরা রোড কেটে, গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন মেরামতির অভাবে ওই রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছে যে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সরিফুল গাজি, সাকিনা বিবি বলেন, ‘‘রাস্তার যা অবস্থা তাতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যাচ্ছে না। রাস্তা মেরামতের জন্য বারবার সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়ে সুরাহা হচ্ছে না।” তাঁরা জানিয়েছেন, বুধবারেও ওই রাস্তায় দু’টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ওই দিন গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেন বেশ কিছু লরিচালকও। লাল্টু সর্দার, খোকন মোল্লারা বলেন, “ঘোজাডাঙা দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্যের ব্যবস্থা করা হলেও পরিকাঠামোর উন্নতি হয়নি।”
মহকুমা পূর্ত ও সড়ক দফতরের সহকারী বাস্তুকার রানা তারাং বলেন, “ওই রাস্তায় ঢেমঢেমি থেকে ঘোজাডাঙা পর্যন্ত, ৪ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতির কাজ করবে স্টেট হাইওয়ে কর্পোরেশন। বাকি ৬ কিলোমিটার রাস্তা আপাতত ইট-ঝামা ফেলে চলাচলের উপযোগী করা হবে। বর্ষা শেষ হলে ওই রাস্তা মেরামতির কাজ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy