লাইব্রেরি, কমন রুম নিয়ে দাবি দীর্ঘ দিনের। জেনারেটর ভাড়া করারও দাবি আছে। স্কুলের চারদিকে পাঁচিল দিতে হবে, পড়ুয়ারা চায়। কিন্তু অভিযোগ, সে সব কথা কানেই নেন না প্রধান শিক্ষক। প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষকের ঘর এবং স্কুলের অফিস ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে, বিদ্যুত্ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। দেগঙ্গার হাদিপুর আদর্শ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ রাস্তার উপরে বেঞ্চ পেতেও বিক্ষোভ দেখায়। তার জেরে হাড়োয়া-বেড়াচাঁপা রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষককে বার বার জানানো হলেও, তিনি কোনও ব্যবস্থা নেন না। পাঁচিল না থাকায় যদি সাইকেল চুরি হয়ে যায়, উল্টে তিনি পড়ুয়াদের সাইকেল পাহারা দিতে বলেন বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জমির সমস্যার কারণে পাঁচিলের কাজ শেষ হচ্ছে না। অর্থের অভাবে লাইব্রেরি তৈরি করতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু তা নিয়ে যে ভাবে স্কুলের ভিতর এবং রাস্তায় বিক্ষোভ দেখানো হল তা ঠিক হয়নি।”
এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্কুলে বিক্ষোভ চলেছে। পরে দেগঙ্গা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘরে তালা ঝোলানোয় শিক্ষকেরা বেশ কিছু ক্ষণ আটকে পড়েছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার হাদিপুর আদর্শ বিদ্যালয়ে অনেক দূর থেকে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করতে আসে। বেশির ভাগই যাওয়া আসার জন্য সাইকেল ব্যবহার করে। অথচ স্কুল চত্বরে কোনও পাঁচিল না থাকায় প্রায়ই কারও না কারও সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। দিনের পর দিন এমন ঘটনায় পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তৌফিক লস্কর, তনু মণ্ডল, রাকেশ আলম, বলরাম পরামানিকদের মতো ছাত্ররা বলে, ‘‘প্রায় দু’হাজার ছাত্রছাত্রী যেখানে পড়াশোনা করে, সেখানে স্কুলে একটা লাইব্রেরি নেই। প্রায়ই লোডশেডিং হওয়ায় জেনারেটরের কথা বলা হলেও কেউ গুরুত্ব দেন না। কমনরুম নেই। সাইকেল চুরির সমস্যা তো আছেই।”
পরিচালন কমিটির সভাপতি আজেদ আলি বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আসার পরে অনেক কাজ হয়েছে। পাঁচিলের কাজ শুরু হওয়া থেকে সাইকেল রাখার গ্যারেজের জন্য শেড দেওয়া এবং লাইব্রেরি তৈরির জন্য ঘরের ছাদ দেওয়ার কাজ হয়েছে। বাকি কাজও সব ধীরে ধীরে শেষ করা হবে।” তাঁর অভিযোগ, কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে কেউ কেউ ছাত্রছাত্রীদের খেপিয়ে তুলে এমন কাণ্ড করছে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy