প্র: অনেকে ভিন্ দেশ থেকে কমিশনের সাইটে লগ-ইন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। তাঁরা কী করবেন?
উ: কমিশনের বক্তব্য, শুরুতে এই সমস্যা হচ্ছিল। এখন সেই সমস্যা কাটানো হয়েছে।
প্র: কেউ অনাথ আশ্রমে মানুষ। তাঁর স্ত্রী-ও। তাঁদের ২০০২-এ ভোটার লিস্টে নাম নেই। তাঁরা কী করবেন?
উ: এখনকার ভোটার কার্ডে যে তথ্য রয়েছে, তা গ্রাহ্য করা হবে।
প্র: বৃদ্ধাশ্রমে যাঁরা আছেন তাঁদের নথি কে দেবেন?
উ: এখনকার ভোটার কার্ডে যে তথ্য রয়েছে, তা গ্রাহ্য করা হবে।
প্র: রাস্তায়, স্টেশনে, বাসস্ট্যান্ডে যাঁরা থাকেন, তাঁদের নাম কী ভাবে উঠবে?
উ: এখনকার ভোটার কার্ডে যে তথ্য রয়েছে, তা গ্রাহ্য করা হবে। ৯ ডিসেম্বরের পরে সবিস্তারে আরও জানা যাবে।
প্র: ইউটিউব বা সাংবাদিক সম্মেলনে বলা বক্তব্য কি গ্রহণযোগ্য? লিখিত নির্দেশ দেওয়া হলে তার কপি কোথায়?
উ: এমন মাধ্যমে কমিশনের তরফে কেউ সাংবাদিক বৈঠক করলে, তা সরকারি ভাবেই দেওয়া হয়ে থাকে। লিখিত নির্দেশ দেওয়া হলে, তা কমিশন ছাড়াও থাকে জেলা প্রশাসনের সর্বস্তরের আধিকারিকদের কাছে, যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।
প্র: নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত মুখপাত্র কে? তাঁর কথাই কি শেষ কথা? লিখিত আদেশনামা ছাড়া তিনি কি নতুন কিছু যোগ বা বিয়োগ করতে পারেন?
উ: রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও কমিশনের হয়ে কাজ করেন। কোনও সংবাদ মানুষকে জানাতে হলে, তিনি তা করেন। তা না হলে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং বাকি দুই নির্বাচন কমিশনার তা করেন। প্রতিটি সিদ্ধান্ত বা নির্দেশের ক্ষেত্রে লিখিত আদেশ থাকে।
প্র: ফর্মে মোবাইল নম্বর দিতে হচ্ছে। এটা ভোটার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা হবে কি?
উ: অনলাইনে আবেদনের সময় আগে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করতে হচ্ছে। ফলে অনুমান করা যায়, এই মোবাইল নম্বর ভোটার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।
প্র: একটি নম্বর কি পরিবারের সব ভোটারের ফোন নম্বর হিসেবে ব্যবহার করা যাবে?
উ: কমিশনের ব্যাখ্যা, ফর্মে তা ব্যবহার করা যাচ্ছে। অন্তত এক-দু’জনের অভিন্ন ফোন নম্বর দেখা যাচ্ছে। অনলাইনে করলে হলে নির্দিষ্ট একটি ফোন নম্বরেই করতে হচ্ছে।
প্র: পশ্চিমবঙ্গে যে এসআইআর হচ্ছে, তার সরকারি গেজেট কবে কোথায় প্রকাশিত?
উ: এ রাজ্যে এসআইআর ঘোষণার সঙ্গেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনার সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল।
প্র: বাবার নাম ২০০২-এর তালিকায়, কিন্তু নিজের নাম নেই। আধার কার্ড, ভোটার কার্ডে সব স্বামীর নাম ‘গার্জেন’ হিসেবে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা। কোন কাগজ দেখালে বাবার নামের সঙ্গে সম্পর্কের লিঙ্ক করা যাবে?
উ: ফর্মে এসআইআর অংশে বাবার নাম, এপিক নম্বর ইত্যাদি উল্লেখ করলেই চলবে।
প্র: নিজের, বাবা, মায়ের নাম,জন্ম তারিখ, ফোন নম্বর, আধার নম্বর সব নেওয়া হচ্ছে। এগুলি হ্যাকাররা পেলে ভোটারদের অনলাইন জালিয়াতি কি সহজ হয়ে গেল না? আধার কার্ডের সময় ১৩ কোটি তথ্য ফাঁস হয়েছিল।
উ: কমিশনের বক্তব্য, এ সব কমিশনের ডেটাবেসে থাকবে। তা রাজ্যে ডেটা সেন্টারে সংরক্ষিত রয়েছে। কমিশন কোথাও তথ্য দেয় না। ফলে সেখান থেকে তথ্য জোগাড় করা যাবে না।
প্র: বিএলও অ্যাপ কত বার বদল হয়েছে? এবং কেন?
উ: কমিশনের বক্তব্য, ছবি এবং তথ্য এডিট সংক্রান্ত ক্ষেত্রে দু’বার সংশোধন করা হয়েছিল বিএলও-দের কাজের সুবিধার্থে এবং সঠিক ভোটার চিহ্নিত করার স্বার্থে।
প্র: এক বার বলা হল মৃত ব্যক্তির ফর্ম দেওয়া যাবে না। আবার বলা হল দেওয়া যাবে। সব মিলিয়ে চার বার চার রকম নির্দেশ?
উ: বহু মৃত ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় থেকে যাওয়ার কারণে সকলের নামে ফর্ম ছাপা হয়ে গিয়েছে। অনেক সময়ে ভোটারেরা তাঁদের মৃত আত্মীয়ের মৃত্যুর শংসাপত্র বা নাম কাটার আর্জি কমিশনকে জানান না। আবার রাজনৈতিক দলগুলির বুথ লেভেল এজেন্টদের এ কাজ নিজস্ব এলাকায় করার কথা থাকলেও, তা করা হয় না। ফলে যে ফর্মগুলি ছাপা হয়ে গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে আসলে কত জন প্রয়াত তা বোঝা যাচ্ছে না। তাই ফর্ম পৌঁছলে সেখানে ‘মৃত’ কথাটি লিখে সই করে জমা করা হচ্ছে। সঙ্গে থাকছে মৃত্যুর শংসাপত্র। তবে বিএলও-দের অনেকেই ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
প্র: এত ভুল কেন, বিশেষ করে মুসলিমদের নামের বানানে?
উ: কমিশনের বক্তব্য, এমন ধরনের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।নামের বানান বেশিরভাগ মানুষেরই গোলমাল হয়ে রয়েছে। সব ক্ষেত্রে যত্ন করে, বিবেচনা করে নেওয়া হবে।
(শেষ)
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)