বাবার নাম আদিল কিন্তু ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর তালিকায় ভুল নাম এসেছে। সে কারণে ভয় এবং আতঙ্কে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তাঁর পুত্র। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন। শুক্রবার ঘটনাটি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজিরপুর বুথে ঘটেছে। ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছোন মন্ত্রী-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজিরপুরের বাসিন্দা রাজেশ আলি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোক জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পর অবস্থার অবনতি দেখে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজেশ। পরিবারের লোকের অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রাজেশের বাবার নাম ছিল আদিল। কিন্তু বর্তমান তালিকায় তার বাবার নাম রাজেশ মহম্মদ এসেছে। যার কারণে আতঙ্কে ভুগছিলেন ওই যুবক। সেই ভয় থেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পরিবারের দাবি, রাজেশের ভোটার এবং আধার কার্ডে নামে ঠিক রয়েছে। অথচ এসআইআর-এর তালিকায় নাম ভুল এসেছে। কী ভাবে এটা হয় তাই নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগেছে রাজেশের পরিবার।
ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম এবং হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। সমস্ত ঘটনা নিয়ে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে তারা চক্রান্তের অভিযোগও তুলেছে। তাদের নেতৃত্বের অভিযোগ, “বিজেপি সরকার যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তার আতঙ্কে পশ্চিমবঙ্গে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাজেশের ভোটার এবং আধার কার্ড ঠিক আছে। তাঁকে বোঝানো হয়েছে, তবুও তিনি আতঙ্কিত। আমরা তাঁর পরিবারে সঙ্গে কথা বলেছি।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও রাজ্যে এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যুর খবর মিলেছে। কোথাও কেউ আত্মঘাতী হয়েছেন, তো কোথাও উদ্বেগ ধরে রাখতে না পেরে প্রাণ হারিয়েছেন কেউ।