—নিজস্ব চিত্র।
মণ্ডপে গিয়ে পুজো দেখা না হোক, কোভিড রোগীদের জন্য পেট পুজোর ব্যবস্থা করল বেহালার নারায়ণ হাসপাতাল। এই বছরও, কোভিডের চোখরাঙানির মধ্যেই পালিত হচ্ছে দুর্গাপুজো। আনন্দ আর উৎসবের মধ্যে মনখারাপ হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের। কিন্তু কোভিড সংক্রমণ নিয়ে চিকৎসাধীন রোগীরা এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকবেন কেন? তাই হাসপাতালের মধ্যে ‘পুজো কর্নার’ করে কোভিড বিধি মেনে পুজো এবং রোগীদের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী সাবেকি বাঙালি পদ থেকে শুরু করে চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল পর্যন্ত খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন হাসপাতালরে সিইও সুপর্ণা সেনগুপ্ত।
গত দু’দিন ধরে রাজ্যে কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা ৭০০ পেরিয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মণ্ডপে গিয়ে পুজো দেখায় বিধনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
নারয়ণ হাসপাতালেও কোভিডে আক্রান্ত ১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।পাশাপাশি অন্য রোগীরাও রয়েছেন হাসপাতালে। ‘‘পুজোর সময় আমরা সবাই প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ করব। রোগীদের তো হাসপাতালের বেডেই থাকতে হবে। এই দিনগুলিতে মনখারাপ করে থাকেন অনেকে, তাই ওঁদের শরীর-মন সুস্থ রাখতে এই উদ্যোগ,’’ বললেন সুপর্ণা। ষষ্ঠী থেকে শুরু হবে পুজোর খাওয়া দাওয়া। পুজোর ‘থালিতে’ থাকবে- নবরত্ন কোর্মা, পনির পসিন্দা, ভেটকি মাছের কালিয়া, চিকেন বাটার মসালা, পটলের দোলমা, খিচু়ড়ি থেকে পাঁপড় ও চাটনি সহ আরও অনেক কিছু।
প্রতিটি রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝে প্রত্যেকের জন্য পৃথক পদের তালিকা বানানো হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের পুষ্টিবিদ হেমন্ত রাউত। আবার সুগার রোগী থেকে কোভিড রোগী, একেক জনের জন্য একেক ধরনের রান্না করা হবে বলে জানান হাসপাতালের শেফ অনিন্দ্য রায়। সাধারণ রান্না করা খাবারের পাশাপাশি রোগীদের জন্য নরম এবং তরল খাবারও রান্না করা হবে বলে জানান অনিন্দ্য।
পুজোর বিশেষ খাবার ছাড়াও পুজোর বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে সবটাই প্রথার সঙ্গে কোভিড বিধির সম্মিলন ঘটিয়ে করা হবে বলে জানান সুপর্ণা। যাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা, তাঁদের প্রতিক্রিয়া অবশ্য এখনও পাওয়া যায়নি। কারণ পুরোটাই তাঁদের জন্য চমক হিসেবে রাখা বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy