মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিধানসভা কেন্দ্র বনমালীপুরেই বিজেপি-তে ভাঙন ধরিয়ে ৬৭০ জনের যোগদান তৃণমূলে। নিজস্ব চিত্র।
ত্রিপুরায় বিজেপি-র অন্তর্দ্বন্দ্বের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভায় ভাঙল ধরাল তৃণমূল। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিধানসভা কেন্দ্র বনমালীপুর থেকে ৬৭০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। উল্লেখ্যযোগ্য নেতাদের মধ্যে ব্লক বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি নান্টু সাহা তাঁর অনুগামীদের নিয়ে যোগ দেন তৃণমূলে। বনমালীপুর বিধানসভা এলাকায় এক অস্থায়ী কার্যালয়ে এই যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই তৃণমূল যুবনেত্রী জয়া দত্ত, পারমিতা সেন, সুজাতা মণ্ডল ও শক্তিপ্রসাদ শর্মার হাত ধরে বিজেপি নেতারা তৃণমূলে নাম লেখালেন।
ঘটনাচক্রে, রবিবার আগরতলায় মহারানি তুলসীপতি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রেক্ষাগৃহে দলের বিক্ষুব্ধ কর্মীদের নিয়ে এক বৈঠকের ডাক দেন বিজেপি নেতা সুদীপ রায়বর্মন। যেখানে হাজির ছিলেন বিজেপি-র বর্তমান বিধায়ক আশিস সাহা, আশিস দাস, দিবাচন্দ্র রাঙ্খেল প্রমুখ। ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি রণজয় দেব। বৈঠকে হাজির কর্মীরাই বিপ্লব দেব সরকার ও রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তাঁদের বক্তব্য না শোনার অভিযোগ করেন।
সোমবারই বিপ্লব-সুদীপ দ্বন্দ্ব মেটাতে আগরতলায় এসেছেন বিজেপি-র তিন শীর্ষ নেতা। তাঁরা ত্রিপুরায় দলের সংগঠনের হাল ফেরাতে বিবাদমান দুই শিবিরের সঙ্গেই বৈঠক করবেন বলেই খবর। যে দিন বিজেপি নেতৃত্ব অভ্যন্তরীণ সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হলেন, সে দিনই সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে ভাঙন ধরাল বাংলার শাসকদল। যুবনেত্রী পারমিতা বলেন, ‘‘বিজেপি-র ভিত যে ত্রিপুরায় নড়ে গিয়েছে, এই যোগদান তারই প্রমাণ। মুখ্যমন্ত্রী নিজের কেন্দ্রের কর্মীদেরই ধরে রাখতে পারছেন না। ২০২৩ সালের ললাটলিখন এখন থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy