দোকানে খোলা পড়ে রয়েছে খাবার। তাতে মাছিও বসছে। কোনও দোকানে বাসি বিরিয়ানিও বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টির দোকানে মিষ্টিও পচে গিয়েছে। খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অভিযানে এমনই সব ছবি ধরা পড়া নিয়ে হুলুস্থুল বাধল বীরভূমের আহমদপুরে। কোনও কোনও দোকানে আবার খাবারে রাসায়নিক রংও ব্যবহার করা হচ্ছে। তা জানতে পেরে এক দোকানিকে কান ধরে ওঠবোস করালেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের এক আধিকারিক।
গত কয়েক দিন ধরেই জেলা জুড়ে নানা জায়গায় অভিযান চালাচ্ছেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা। এর আগে সিউড়ি, রামপুরহাটেও অভিযান চলেছে। বৃহস্পতিবার খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা গেলেন আহমদপুরে। বিভিন্ন রেস্তরাঁ, তৈরি করা খাবারের দোকান, প্যাকেটজাত খাবারের দোকান এমনকী ফলের দোকানগুলিতেও হানা দেন তাঁরা। আধিকারিকেরা জানান, খাবারে ব্যবহার করা যায় না এমন রং উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকটি দোকান থেকে। কয়েকটি দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ দুধ, দই, সস, তেল ইত্যাদিরও হদিস পান তাঁরা। এ ছাড়াও অনেক দোকানেই খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের ট্রেড লাইসেন্স এবং ফুড লাইসেন্স নেই। সেই সমস্ত দোকান মালিকদের আগামী দশ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে, না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার হুঁশিয়ারিও দেন আধিকারিকেরা।
এক জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক বলেন, “আমরা একটা সচেতনতামূলক অভিযান চালালাম। যেগুলি খাদ্যোপযোগী নয়, তেমন রং যেন খাবার তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার না করা হয়, যাদের লাইসেন্স নেই তাঁরা যেন দ্রুত লাইসেন্স করিয়ে নেন, সেই বিষয়ে দোকান মালিকদের সতর্ক করা হল। আমরা চাই, সিউড়ি শহরে একটি সুস্থ খাবারের পরিবেশ তৈরি হোক। যাঁদের সতর্ক করা হয়েছে, তাঁরা যদি তা না মানেন, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”