একটি বাড়ি থেকে গলার নলি কাটা অবস্থায় এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার রাতে নিউ টাউনের হাতিয়াড়া এলাকার এই ঘটনায় সেখানে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই ইকো পার্ক থানার পুলিশ মহিলাকে উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সুমনা সাউ (৩১)। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। বধূর গলায় গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে মৃতার এক আত্মীয়ের খোঁজ মিলছে না। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো বঁটিও উদ্ধার করা হয়েছে। কেন সুমনাকে খুন করা হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার নেপথ্যে সম্পর্কের কোনও টানাপড়েন রয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এই বিষয়ে কিছু সূত্র পেয়েছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার দেহের ময়না তদন্ত করা হয়। সেই রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হবে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রবীণ শ্বশুর, স্বামী ও ছোট সন্তানকে নিয়ে হাতিয়াড়ার নস্করপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সুমনা। তাঁদের সঙ্গে এক আত্মীয়ও থাকতেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার রাতে এক প্রতিবেশী সুমনাকে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। তাতে সন্দেহ হয় তাঁর। অন্য প্রতিবেশীদের ডেকে এর পরে দরজা ভেঙে দেখা যায়, ঘরে খাটের উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সুমনা। তাঁর স্বামী দিলীপকুমার সাউ কাজে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে এই অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিধাননগর পুলিশের এক আধিকারিক। ঘটনার সময়ে সুমনার সন্তান ও অসুস্থ শ্বশুর অন্য ঘরে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে যে আত্মীয় থাকতেন, তিনি সম্পর্কে সুমনার মামা। বিহারের বাসিন্দা ওই যুবকের বয়স বছর ঊনত্রিশ। ঘটনার পর থেকে তাঁরই খোঁজ মিলছে না। ওই ব্যক্তির সঙ্গে খুনের এই ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)