Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Bhabanipur Bypoll

Abhishek Banerjee: ভবানীপুর উপনির্বাচনে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতার হয়ে প্রচারে নামতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা লাগোয়া লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের অডিটোরিয়ামে এক ঘরোয়া সভা করবেন অভিষেক।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:২৫
Share: Save:

ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে নামছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর, শনিবার ভবানীপুর বিধানসভা লাগোয়া লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের অডিটোরিয়ামে এই কেন্দ্রের বাছাই করা ভোটারদের নিয়ে এক ঘরোয়া সভা করবেন তিনি। এ বারের উপনির্বাচনে বড় সমাবেশ, বড় মিছিল বা কোনও রোড শো করা যাবে না করোনা-সংক্রমণের কারণে। তেমনই নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। তাই তৃণমূল নেতৃত্ব ছোট ছোট ঘরোয়া বৈঠক করে মমতার হয়ে ভোট চাওয়ার কৌশল নিয়েছেন। সেই প্রচারে এ বার অংশ নেবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

১৮ তারিখ সন্ধ্যায় লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের অডিটোরিয়ামে অভিষেক যেমন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে ভোট চাইবেন, তেমনই রাখা হচ্ছে নৈশভোজের বন্দোবস্তও। বৈঠকে ডাকা হবে ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার আটটি ওয়ার্ডের বিশিষ্টজনদের। এমন ঘরোয়া বৈঠকেও যে কমিশনের নজর থাকবে, তা ভালমতো জানেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ভোট প্রচার উপলক্ষে জনসমাগম হলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন। তাই ভবানীপুর লাগোয়া বালিগঞ্জ বিধানসভার অংশ ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের অডিটোরিয়ামে এই কর্মসূচি রাখা হয়েছে। বিধানসভার নিরিখে ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড বালিগঞ্জের অংশ হলেও, লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের অডিটোরিয়ামটি ভবানীপুর ঘেঁষা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংসদ অভিষেক ওই এলাকার ভোটারদের কাছে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে চাইতে পারেন।

ভবানীপুর এলাকার এই কর্মসূচিতে অভিষেকের সঙ্গে থাকতে বলা হয়েছে দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বকে। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে থাকবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার-সহ ভবানীপুরের অন্তর্গত কলকাতা পুরসভার আটটি ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটরেরা। তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এই ধরনের কর্মসূচিকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার বলতে চাইছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের ঘরোয়া বৈঠককে শাসকদলের সঙ্গে ভোটারদের জনসংযোগ বলা যেতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE