ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) প্রক্রিয়াকে নিশানা করার সঙ্গেই বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যত ‘হুঁশিয়ারি’ দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে সপ্তমে চড়ছে সুর। এই প্রেক্ষিতেই ভোটার তালিকায় প্রতিটি নামের অন্তর্ভুক্তি ও বাতিলের প্রস্তাবে নজর রাখতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রক্রিয়ায় জেলা থেকে বুথ পর্যন্ত দলের ভূমিকা নির্দিষ্ট করতে আগামী ৮ অগস্ট বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যের প্রায় ৩০% ব্লক এবং টাউন কমিটির সভাপতি বদলের প্রক্রিয়াও শুরু করছে তৃণমূল।
বিহারের পরে এই রাজ্যেও এসআইআর প্রক্রিয়া আসন্ন। সেই তালিকা ধরেই আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট হবে। সে ক্ষেত্রে সংশোধন প্রক্রিয়ায় দলের প্রতিনিধিদের (‘বুথ লেভেল এজেন্ট’) কী করণীয়, তা এখন থেকেই বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদের জানাতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের এক নেতার বক্তব্য, “মহারাষ্ট্র ও দিল্লির ভোটের পরে থেকেই আমরা ভোটার তালিকায় নতুন নাম তোলা ও বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। তখন থেকেই বুথ স্তর পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।”
বুথ পিছু দলের ওই এজেন্ট নিয়োগের কাজও অনেকটা এগিয়েছে তৃণমূল। প্রাথমিক ভাবে আগেই জেলা, ব্লক ও অঞ্চল স্তরে দলের নেতাদের কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। এমনই একটি বৈঠকে ‘ত্রিস্তরীয় নজরদারি’র ব্যবস্থা তৈরি করতে বলেছিলেন অভিষেকই। সূত্রের দাবি, সেই প্রস্তুতিই আরও খানিকটা এগোতে চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব। সেই কারণেই আগামী ৮ তারিখ সাংসদ, বিধায়ক, পুরসভা ও পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি ছাড়াও জেলা ও ব্লক সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বাকি করণীয় স্থির করে দেবেন অভিষেক। দলীয় নেতারা মনে করছেন, ভোটার তালিকায় সংশোধনের প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করলেই নির্বাচনী জনসংযোগের কাজ অনেকটাই হয়ে যাবে। তাই এই পর্বে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না তাঁরা।
পাশাপাশি, আগামী সপ্তাহেই জেলা সভাপতি, চেয়রাম্যান ও বিধায়কদের সঙ্গে আলাদা করে আলোচনার ভিত্তিতে ব্লক ও টাউন স্তরে সভাপতি বদলের কাজ সেরে ফেলতে চাইছে তৃণমূল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)