Advertisement
২৯ মার্চ ২০২৩
Abhishek Banerjee

কেশপুরে যাওয়ার পথেও গ্রামে ‘দিদির দূত’ অভিষেক, গ্রামবাসীদের পাট্টা দিতে সেচমন্ত্রীকে ফোন

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়্গপুরের মাতকাতপুরে সেচ দফতরের জায়গায় বাস করে ৯৩টি পরিবার। শনিবার কেশপুরে যাওয়ার পথে সেই গ্রামেই ঢুকে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

খড়্গপুরের গ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

খড়্গপুরের গ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৮
Share: Save:

নির্ধারিত কর্মসূচিতে পৌঁছনোর আগে আবার ‘রুট’ বদলে গ্রামে ঢুকে পড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কেশপুরে জনসভা রয়েছে তাঁর। সেখানে যাওয়ার আগে পথ বদল করে খড়্গপুর-১ ব্লকের মাতকাতপুর গ্রামে যান তিনি। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা দীর্ঘ কাল ধরে বসবাস করছেন সেচ দফতরের জমিতে। কিন্তু তাঁদের পাট্টা নেই। সমস্যার কথা শুনে সেখান থেকেই রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন অভিষেক। গ্রামবাসীদের পাট্টা দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তিনি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাতকাতপুরে সেচ দফতরের জায়গায় বাস করে ৯৩টি পরিবার। শনিবার কেশপুরে যাওয়ার পথে সেই গ্রামেই ঢুকে পড়েন অভিষেক। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। অভিষেককে জানানো হয়, তাঁরা অন্তত ১০০ বছর ধরে রয়েছেন ওই জায়গায়। কিন্তু সেচ দফতরের জায়গায় বাড়ি হওয়ায় তাঁরা নানা সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও গ্রামবাসীরা জানান অভিষেকের কাছে। তাঁরা জমির পাট্টা দাবি করেন। গ্রামবাসীদের কথা শুনতে শুনতে এলাকা ঘুরে দেখেন অভিষেক। এর পর তিনি গ্রামবাসীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনাদের সামনে আমি সেচমন্ত্রীকে ফোন করছি।’’ এই বলে তিনি রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থকে ফোন করেন। প্রথমে ফোনটি ধরেননি পার্থ। এর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই পার্থ ফোন করেন অভিষেককে। পার্থের শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘পার্থদা তোমরা শরীর ঠিক আছে? জানি তোমার অস্ত্রোপচার হয়েছে।’’ এর পর মাতকাতপুরের ওই দেড়শো পরিবারের সমস্যার কথা পার্থকে বলেন অভিষেক। ওই পরিবারগুলিকে পাট্টা দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। বিষয়টিকে ‘অগ্রাধিকার’ দিয়ে দেখার অনুরোধও করেন রাজ্যের মন্ত্রীকে। তিনি ফোনে বলেন, ‘‘না হলে এঁরা (মাতকাতপুরের বাসিন্দারা) সরকারি সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন না। নিয়মকানুন মেনে যত দ্রুত সম্ভব করে দিও।’’

পরবর্তী কালে গ্রামবাসীদেরও বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করার জন্য বলেন অভিষেক। ওই গ্রামের রাস্তা, পানীয় জল ইত্যাদি পরিষেবা নিয়েও শনিবার খোঁজখবর নেন অভিষেক। সেখান থেকে তিনি রওনা দেন কেশপুরের উদ্দেশে। এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সভার আগে পথ বদলে সেখানকার একটি গ্রামে ঢুকে পড়েছিলেন অভিষেক। সেখানকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা জানতে চান তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.