কাঁথির পর রানাঘাট! সব ঠিকঠাক চললে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পরবর্তী গন্তব্য হতে চলেছে নদিয়া জেলার রানাঘাট। সেখানেই আগামী ১৭ ডিসেম্বর জনসভা করতে পারেন তিনি। এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল নেতৃত্বের পাখির চোখ হতে চলেছে নদিয়া জেলা। কারণ গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে পরবর্তী সময়ে লোকসভা ও বিধানসভাতে এই জেলায় ভাল ফল করেছে বিজেপি। রানাঘাট লোকসভা আসন জেতার পাশাপাশি বিধানসভা ভোটেও নয়টি আসন পেয়েছে তাঁরা। তাই এ বার শাসক দলের তরফে সেই সব আসন নিজেদের দখলে আনতে এ বার প্রথম থেকেই উদ্যোগী হয়েছে বাংলার শাসক দল। প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাসে রাস উৎসবের সময় তিন দিনের কৃষ্ণনগর সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক জনসভার পাশাপাশি অংশ নিয়েছিলেন শান্তিপুরের রাস উৎসবে।
আরও পড়ুন:
এ বার নদিয়া জেলার রানাঘাটে ঝটিকা সফরে যাবেন অভিষেক। ৩ ডিসেম্বর কাঁথি থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই সংসদে যোগ দেবেন ডায়মন্ড হারবারের সংসদ। তার মাঝে রানাঘাটে সভার জন্য কলকাতায় ফিরে আসবেন। এক দিনের জন্য রানাঘাটে গিয়ে জনসভা করবেন তিনি। নদিয়া জেলার রানাঘাট লোকসভা এলাকায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের অধিক্য। তাই মনে করা হচ্ছে মতুয়া সম্প্রদায়ের ‘মন পেতে’ বেশ কিছু ঘোষণা করতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ‘সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট’ (সিএএ) নিয়ে আগামী দিনে মতুয়াদের মধ্যে জোর প্রচারে নামতে পারে বিজেপি। কৃষ্ণনগরের সভা থেকে সিএএ-র পাল্টা প্রচার করে এসেছেন মমতা। অভিষেকও সিএএ-র বিরুদ্ধে বক্তৃতা করে বিজেপির রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন বলেই মনে করছেন নদিয়া জেলা তৃণমূলের নেতারা।