এ রাজ্যে প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের মাত্র ১৭% সম্পূর্ণ পুষ্টি পায়। অপুষ্টিতে ভোগে ২৬%। তবে উচ্চপ্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের মধ্যে অপুষ্টিতে ভোগার হার তুলনায় কম। শনিবার এমনই দাবি করলেন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস’ (নাইসেড)-এর বিজ্ঞানী অমলেশ সরকার। ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস’ আয়োজিত অধ্যাপক প্রতিমা চট্টোপাধ্যায় স্মারকবক্তৃতায় তিনি জানান, রাজ্যের স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
কী ভাবে তৈরি হচ্ছে এই ফারাক? অমলেশবাবুর ব্যাখ্যা, অপুষ্টি গরিব পরিবারের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। কারণ, বহু পডুয়াই প্রাথমিক স্তর পেরিয়ে স্কুল ছাড়ছে। ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, শহরের তুলনায় গ্রামের পড়ুয়ারা অপুষ্টিতে বেশি ভোগে।
জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহামারী রুখতে গেলে নাগরিকদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। সেই ক্ষমতা কার, কত রয়েছে বা কোন এলাকায় জনস্বাস্থ্যের হাল কেমন— তা বুঝতে হলে পুষ্টি সমীক্ষা করা প্রয়োজন। শিশু অবস্থায় শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি না গেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় না। মানসিক ও শারীরিক বিকাশও অসম্পূর্ণ থাকে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। সমীক্ষা বলছে, শিশুদের ক্ষেত্রে পুষ্টি জোগানোর জন্য ‘মিড ডে’ মিলের বন্দোবস্ত করেছে সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুষ্টিহার ঠিক মতো জোগানো যাচ্ছে না। তাঁদের অভিযোগ, মিড ডে মিল বণ্টনের ক্ষেত্রে নানা দুর্নীতি থাকে। ফলে পড়ুয়াদের সুষম পুষ্টি দেওয়া সম্ভব হয় না। শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, মিড ডে মিলের জন্য যা অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তাতে সব সময় সুষম পুষ্টি জোগানোও সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:গুরুঙ্গদের ধরতে চিঠি
মিড ডে মিল যথাযথ ভাবে বরাদ্দ করার পাশাপাশি অমলেশবাবুর মতো জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, প্রয়োজনে ‘ফু়ড সাপ্লিমেন্ট’ দিতে হবে। এর পাশাপাশি শিশুদের পুষ্টি সম্পর্কে মায়েদের সচেতন করতে হবে। মায়েদের অজ্ঞানতার ফলে শিশুরা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না— এমন উদাহরণও বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন।
এ দিন অধ্যাপক সতীপতী চট্টোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতা দেন এসএসকেএম হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক শুভঙ্কর চৌধুরী। তিনি জানান, দেশের পাঁচ কোটি মানুষ থাইরয়েড ও সাড়ে ছ’কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy