Advertisement
E-Paper

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া ‘তথ্য’, টেটের প্রায় ২২ লাখ উত্তরপত্র ওড়িশার সংস্থাকে বিক্রি: সিবিআই

সিবিআই আদালতকে জানাল, পুড়িয়ে ফেলা হয়নি ওই সব ওএমআর শিট। তার বদলে ওড়িশার বালেশ্বরের একটি কাগজ প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়, লক্ষ্য ছিল নথি নষ্ট করা।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪০
According to CBI 22 lakhs of Tet weimar sheet sold to Odisha organization dgtl

—প্রতীকী চিত্র।

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের গোড়া থেকেই ২০১৪ সালে হওয়া টেটের ওএমআর শিট কোথায়, তা জানতে চায় আদালত। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কোর্টকে জানায়, অত উত্তরপত্র রাখার স্থানাভাবে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সিবিআই আদালতকে জানাল, পুড়িয়ে ফেলা হয়নি ওই সব ওএমআর শিট। তার বদলে ওড়িশার বালেশ্বরের একটি কাগজ প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়, লক্ষ্য ছিল নষ্ট করা। ওই সংস্থা জানায়, ২০১৮ সালে তারা ২০০ কুইন্টালের বেশি ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তা দিয়ে নতুন কাগজ তৈরি হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে সিবিআই মঙ্গলবার পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিরও তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ওই মামলায় ধৃত অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তাঁর সংস্থার মাধ্যমে ১৭টি পুরসভার ১,৮২৯ জনকে অবৈধ ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

সিবিআই টেট নিয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি করেছে আদালতে। যে সংস্থাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিল, সেই এস বসু রায় এন্ড কোম্পানি আসলে একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম। ২০২২ সাল পর্যন্ত সংস্থাটি এই হিসাবেই নথিবদ্ধ ছিল। পরে বেশ কিছু বিষয় সংস্থার কাজের ক্ষেত্র হিসাবে যুক্ত করা হয়। আর সেই সংস্থার মাধ্যমেই পর্ষদ ওএমআর শিট তৈরি থেকে পরীক্ষা নেওয়া এবং মূল্যায়ন করে। সিবিআই মঙ্গলবার আদালতে দাবি করেছে, এই সংস্থাকে সামনে রেখে দুর্নীতি চলছিল। পর্ষদের এক শ্রেণির কর্মীরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমন ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যাতে কোন ওএমআর শিট কার, তা কেউ আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারবেন না। আদালতে পেশ করা রিপোর্টে সিবিআই এমনটাও দাবি করেছে যে, বেআইনি ভাবে পরীক্ষার নথি নষ্ট করা হয়েছে।

সিবিআই আদালতকে এটাও জানিয়েছে যে, নিয়োগ দুর্নীতিতে এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন মহিদুল আনসারি, জফিকুল ইসলাম, সজল কর, দেবরাজ চক্রবর্তী, বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত এবং সৌরভ ঘোষ। তাঁদের ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে অনেক নথি মিলেছে বলে দাবি। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এঁদের মধ্যে দেবরাজ তৃণমূল নেতা। তাঁর স্ত্রী অদিতি মুন্সি শাসক দলের বিধায়ক।

Recruitment Case CBI TET OMR Sheet Bengal Teacher Recruitment Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy