প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
রাজ্যের কোষাগারের আর্থিক ক্ষতি করে মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার হস্তান্তরের অভিযোগ এনে তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছিলেন বলে জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর করা মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টকে সিবিআই জানিয়েছে, ওই অভিযোগের তদন্ত করতে তারা প্রস্তুত। তার পরেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কটাক্ষ করা হয়েছে, হাতের উপরে পদ্ম নাকি পদ্মের উপরে হাত, বোঝা যাচ্ছে না!
যে সিবিআইকে নরেন্দ্র মোদীর সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে বলে সর্বভারতীয় কংগ্রেসও সরব, সেই দলেরই প্রদেশ সভাপতি কী করে সিবিআইয়ের উপরে ভরসা করছেন, খোঁচা দেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্ন তুলে। তারই জবাব দিয়ে বুধবার অধীরবাবু বলেছেন, ‘‘সিবিআইয়ের উপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনাস্থা বা আমাদের আস্থার ব্যাপার এটা নয়। কর্মরত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে মামলা করেছিলাম। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ বলে ইডি-কে যুক্ত করার কথা বলা হয়েছিল। এ বার সিবিআই আসবে কি না, সেটা আদালতের ব্যাপার।’’
প্রদেশ সভাপতির আরও ব্যাখ্যা, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত রাজ্যের কোনও সংস্থা করলে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে বলেই বিরোধী দল হিসেবে তাঁরা আদালতে গিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই কেন্দ্রীয় সংস্থার যোগ এসেছে। অধীরবাবুর পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘নারদ-কাণ্ডে লালকৃষ্ণ আডবাণী সংসদের এথিক্স কমিটির একটি বৈঠকও ডাকেননি। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী একটি কথাও বলেননি। তা হলে কি পদ্মফুল-ঘাসফুলের পরাগ রেণুর মিলন হয়েছে?’’ তৃণমূল নেতা তাপস রায় অবশ্য বলেছেন, ‘‘এ সব করে কংগ্রেসের কী পরিণতি হয়েছে, এ রাজ্যে দেখাই যাচ্ছে! তার পরেও ওদের শিক্ষা না হলে কী করা যাবে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy