প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করে যে ভাবে সিবিআই এবং ইডি প্রধানদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, তা নিয়ে সংসদে আলোচনা দাবি করলেন লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিএসএফের এক্তিয়ারের এলাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেও আলোচনা চেয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, প্রয়োজনে মুলতুবি প্রস্তাব এনে এই নিয়ে আলোচনা হোক।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ২৯ নভেম্বর। অধিবেশন ডাকার বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন দলের সংসদীয় নেতাদের কাছে এসে পৌঁছেছে বুধবার রাতে। তার পরেই সিবিআই ও ইডি-র প্রধানদের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে বিধিবদ্ধ প্রস্তাব আনার জন্য নোটিস দিয়েছেন অধীরবাবু। তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সংসদের অধিবেশন যখন সামনেই ছিল, তা হলে এ ভাবে অর্ডিন্যান্স এনে সিবিআই এবং ইডি অধিকর্তাদের মেয়াদ বাড়াতে হল কেন? সংসদকে এড়িয়ে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করতে এই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধহস্ত। লোকসভায় এই নিয়ে বিধিবদ্ধ প্রস্তাব এনে আলোচনা চাইছি।’’ কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে দু’দলের তরফেই। এই প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও এ দিন বলেছেন, ‘‘সংসদকে এড়িয়ে অগণতান্ত্রিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিবিআই, ইডি-র মতো সংস্থার প্রশাসনিক প্রধানদের কাজের সময় বাড়িয়ে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত আপত্তিকরও। কেন বাড়াতে হবে?’’ সেই সঙ্গেই তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এ রাজ্যেও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তাদের অবসরের পরে নানা দায়িত্বে বহাল রাখার রেওয়াজ আমরা দেখছি। মুখ্যমন্ত্রীর কেউ উপদেষ্টা, কেউ বিশেষ উপদেষ্টা, কেউ অতিরিক্ত বিশেষ উপদেষ্টা। রাজ্যে যাঁরা এই কাজ করেন, কেন্দ্রও সেই পথে চললে তাঁরাই আবার মামলা করেন! আমরা পুরোটাতেই আপত্তি করছি।’’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবুর বক্তব্য, বিএসএফের এক্তিয়ারের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্কে আছেন। বিষয়টি নিয়ে বিশদে আলোচনার দরকার। পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। বিএসএফ সংক্রান্ত এই প্রশ্নও সংসদে তুলে আলোচনা চাইছেন বহরমপুরের সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy