Advertisement
E-Paper

মন্ত্রী সুজিতের অফিসে ইডি হানার পরেই কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে দক্ষিণ দমদম পুরসভার আধিকারিক

রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে ইডি হানার পর এ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজির দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক আধিকারিক। সূত্রের খবর, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে তাঁকে তলব করা হয়েছিল।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৪৭
সুজিত বসু।

সুজিত বসু। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে ইডি হানার পর এ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজির দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক আধিকারিক। সূত্রের খবর, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে তাঁকে তলব করা হয়েছিল। ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার সময় সেই আধিকারিকও জানান, তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল।

ঘটনাচক্রে, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই এই দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাচু রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। অভিযোগ ছিল, কোভিডের সময় রাতারাতি চাকরি হয়েছিল ২৯ জনের। যদিও সেই চাকরি টাকার বিনিময়ে হয়েছিল কি না, তা চার্জশিটে তখন উল্লেখ করেনি সিবিআই। এ বার সেই পুরসভারই এক আধিকারিক আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীদের মুখোমুখি হলেন।

গত শনিবারই কলকাতা এবং আশপাশের ১৩ জায়গায় শুক্রবার তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তার মধ্যে ছিল দমকলমন্ত্রী সুজিতের দফতর। শহরের ১৩টি জায়গায় তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল নগদ ৪৫ লক্ষ টাকা এবং নথিপত্র। সেই নগদ নিয়ে অবশ্য কোনও ‘ব্যাখ্যা মেলেনি’। তবে ওই টাকা কোথা থেকে মিলেছে, তা স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি ইডি। সুজিতের দফতর বা সংস্থা থেকে কোনও টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কি না, বা করলে কত পরিমাণে, তারও কোনও উল্লেখ ছিল না ইডির বক্তব্যে।

স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে প্রথম গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালাতে গিয়ে উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট। সেখান থেকেই পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতির হদিস পান তদন্তকারীরা। অয়নের সংস্থা পুর নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআরের দায়িত্বে ছিল। তদন্তে নেমে একে একে আরও অনেককে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। পরে এই মামলায় অবৈধ ভাবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তে নামে ইডিও।

এর আগে ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তেই লেকটাউনে সুজিতের দু’টি বাড়ি এবং দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। ১৪ ঘণ্টা তল্লাশির পর বেশ কিছু নথি এবং সুজিতের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা।

Sujit Bose
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy