Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Alapan Bandyopadhyay

Alapan Bandyopadhyay: মঙ্গলবার পর্যন্ত আলাপন-মামলায় রায়দান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাই কোর্ট

সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন।

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১ ১৫:২৫
Share: Save:

সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (ক্যাট)-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলায় আগামী ২ নভেম্বর অর্থাৎ আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবার পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাই কোর্ট। এ দিন হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২ নভেম্বর দিল্লির প্রিন্সিপাল বেঞ্চে মামলাটির ফের শুনানি রয়েছে। তার আগেই রায় ঘোষণা করা হবে।
জরুরি ভিত্তিতে শুনানি চেয়ে মঙ্গলবার হাই কোর্টে গিয়েছিলেন আলাপন। তাঁর সেই আর্জি মেনে নিয়ে বুধবারই ওই মামলা শোনে হাই কোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চ।

বর্ধিত সময়সীমা পর্যন্ত কাজ না করে রাজ্যের মুখ্যসচিব পদ থেকে নির্দিষ্ট দিনেই অর্থাৎ গত ৩১ মে অবসর নিয়েছিলেন আলাপন। এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রের কর্মিবর্গ মন্ত্রক। ওই তদন্ত খারিজের দাবিতেই ক্যাট-এর কলকাতা বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলাপন। সঙ্গে জানিয়েছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত কর্মী হিসেবে তাঁর যে সুযোগ ও সুবিধা পাওয়ার কথা, তা তিনি পাচ্ছেন না। কিন্তু সেখানে কোনও স্থায়ী সমাধান হওয়ার আগেই ২২ অক্টোবর মামলাটি দিল্লিতে স্থানান্তর হয়ে যায়। আলাপন জানতে পারেন, তাঁর মামলাটি কলকাতার বেঞ্চ থেকে তড়িঘড়ি দিল্লি ক্যাট-এর প্রিন্সিপাল বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। ক্যাট-এর ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলাপন।

বুধবার মামলাটি বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি হয়। সেখানে আলাপনের আইনজীবী জানায়, আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই মামলাটি এক দিনের মধ্যে দিল্লির প্রধান বেঞ্চে সরিয়ে নিয়ে যায় ক্যাট। এর পরই কেন্দ্রের কর্মিবর্গ মন্ত্রকের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনাদের কি মনে হয় না যে আপনাদের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মামলাকারীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে? আলাপনবাবুর দ্রুততা ছিল বলেই তিনি অবকাশের মধ্যে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু আপনাদের তাড়াহুড়ো করার কি দরকার ছিল?’’

উত্তরে কর্মিবর্গ মন্ত্রকের আইনজীবী আদালতকে জানান, ‘‘যে কোনও বেঞ্চে মামলা স্থানান্তর করার ক্ষমতা রয়েছে ক্যাট-এর চেয়ারম্যানের। দিল্লিতে আলাপনের সব নথি রয়েছে। তাই হয়তো ওই মামলা সরানো হয়েছে।’’ পাল্টা প্রশ্নে বিচারপতি জানতে চান, ‘‘সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চের চেয়ারম্যান কী করে জানলেন যে, আলাপনবাবুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সব নথি দিল্লিতে আছে?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE