আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী
বিধানসভায় পাস হয়ে গেল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিল। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিলটি পেশ করেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা বিষয়ক মন্ত্রী গোলাম রাব্বানি। রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিল শিক্ষা দফতর মারফত পাস হয়ে গেলেও বাকি রয়ে গিয়েছিল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। যে হেতু আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা বিষয়ক দফতরের অধীন, তাই পৃথক ভাবে বিল আনা হল বিধানসভায়। এই বিলটি পাস হওয়ার ফলে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বসার পর পথ প্রশস্ত করা হল। যদিও, বিজেপি পরিষদীয় দলের দাবি, রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তবেই এই বিল কার্যকর করা যাবে। তাই বিল পাস করে আচার্য পদে বসার যে স্বপ্ন মুখ্যমন্ত্রী দেখছেন তা কখনও সফল হবে না।
বিলের পক্ষে মন্ত্রী ছাড়াও শাসক দলের পক্ষে বলেন লালগোলার বিধায়ক মোহাম্মদ আলি, বসিরহাট উত্তরের বিধায়ক রফিকুর রহমান ও সোনারপুর উত্তর ফেরদৌসী বেগম। বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে এই বিলের বিপক্ষে বলেন আই এস এফের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এ ছাড়া বিপক্ষে বলেন ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণ ও গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক।
আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি ক্ষমতা কুক্ষিগত না করে বরং আচার্যের পদ থেকে সরে গিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা যে ভাবে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে, পঙ্গু হচ্ছে, সেটাকে রোধ করুন। শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী-সহ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে নজর দিন।’’ বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ বলেছেন, ‘‘গোটা অধিবেশন জুড়েই রাজ্য সরকার শুধু রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এর ফলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি তো হবেই না, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতির প্রবেশ আরও সুগম হবে।’’
তবে বিরোধীদের এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘‘গত ১১ বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার আসার পর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক উন্নতি হয়েছে। সেই উন্নতি আরও ত্বরান্বিত করতে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানো হচ্ছে। বিরোধীরা যে দাবি করছেন তা একেবারেই অমূলক।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy