ফাইল চিত্র।
সকালেই বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ‘‘আজ মৎস্য দফতর থেকে মাছ দেওয়া হবে। সকলে মাছ নিয়ে যাবেন।’’
সন্ধ্যার মুখে অধিবেশনের শেষ লগ্নে বিধানসভার লবিতে মাছ নেওয়ার দীর্ঘ লাইন। হাতে হাতে মিলছে গোটা ইলিশ। সকলের বরাতে অবশ্য ইলিশ জোটেনি। ফুরিয়ে গিয়েছিল। তাঁরা পেলেন রুই। মঙ্গলবার এমন ‘মৎস্যমুখ’-এর আয়োজনে বিধায়করাও হাস্যমুখ।
এক সময়ে মৎস্য বাজেটের দিনে মাছ ভাজা খাওয়ানোর রেওয়াজ চালু করেছিলেন বাম আমলের মৎস্যমন্ত্রী কিরণময় নন্দ। পরে তা বন্ধ হয়। এ বার গোটা মাছ হাতে ধরিয়ে আর এক রেওয়াজ চালু করলেন তৃণমূলের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। কেন এই আয়োজন? মৎস্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘মৎস্য উন্নয়ন নিগমের মাছ চাষের কথা শুনে বিধায়করা অনেক দিন ঘরেই মাছ খাওয়ার আবদার করছিলেন। তাঁদের আবদার মেনেই মাছ বিলি করা
হল এই প্রথম। এ বার থেকে প্রতি বছর বিতরণ করব।’’ বিধায়কদের জন্য এক কেজি ওজনের ইলিশ আনা হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে।
এ ছাড়াও রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমে পরিচালিত বাঁকুড়ার কৃষ্ণবাঁধের জলাশয়ে চাষ করা রুইও দেওয়া হয়েছে।
অধিবেশন থেকে বেরনোর মুখে তাঁর ইলিশটা আর বাড়ি নিয়ে গেলেন না শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দিয়ে গেলেন দফতরের কর্মীদের। ভাগের ইলিশটা ঝটিতি বিধানসভার ক্যান্টিনে ভাজিয়ে ঘরেই বিলি করলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কংগ্রেস সচেতক মনোজ চক্রবর্তী আবার বিধায়ক আবাসের রান্নাঘরে পৌঁছে দিলেন ইলিশ। রাতেই কব্জি ডুবিয়ে ইলিশ-স্বাদে মজেছেন বহরমপুরের এই বিধায়ক।
ঘটনাচক্রে এ দিন সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন থাকায় তাদের বিধায়কেরা প্রায় কেউই বিধানসভায় ছিলেন না। আর মাছ নেননি বিজেপির বিধায়ক তথা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy