Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

টিকা পরীক্ষায় আইন ভাঙার নালিশ

দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতর সূত্রের খবর, অভিযুক্ত হাসপাতালেরই এক কর্মী তাঁদের দফতরে একটি অভিযোগপত্র পাঠান। তার ভিত্তিতে গত ১৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতরের অফিসারেরা ওই হাসপাতালে দু’বছরের পুরনো ওই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৪৮
Share: Save:

কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী ও নার্সদের একাংশের সঙ্গে কোনও চুক্তি ছাড়াই তাঁদের উপরে হেপাটাইটিস এ-র টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত চালিয়ে দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতরের অফিসারেরা ওই হাসপাতালে সব রকম ওষুধ, ইঞ্জেকশন বা টিকা-র পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বা ক্লিনিকাল ট্রায়াল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছেন।

দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতর সূত্রের খবর, অভিযুক্ত হাসপাতালেরই এক কর্মী তাঁদের দফতরে একটি অভিযোগপত্র পাঠান। তার ভিত্তিতে গত ১৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতরের অফিসারেরা ওই হাসপাতালে দু’বছরের পুরনো ওই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। তার পরেই গত সপ্তাহে তদন্তকারীরা ওই হাসপাতালে ভবিষ্যতে সব রকম ওষুধ, ইঞ্জেকশন বা টিকা-র পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেন।

ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতরের এক কর্তা বলেন, এমনিতেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে সংস্থার কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নেওয়ার কথা নয়। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চাকরি বাঁচাতে গিয়ে অনেকেই অনিচ্ছা থাকলেও ‘না’ করতে পারেন না। ওই কর্তা বলেন, ‘‘এই ভাবে অসহায়তার সুযোগ নিয়ে কাউকে বাধ্য করাটা অপরাধ।’’ তার পরেও স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়ে কেউ অনুমতি দিলে তা ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখার কথা। আলাদা করে চুক্তিও হওয়ার কথা।

ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতর দাবি করছে, দক্ষিণ কলকাতার এক সরকারি ক্যানসার হাসপাতাল, মধ্য কলকাতার এক বেসরকারি ক্যানসার হাসপাতাল, উত্তর কলকাতার এক সরকারি হাসপাতাল তথা গবেষণা সংস্থা, দক্ষিণ কলকাতার এক শিশু হাসপাতাল ও এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও এমন বেআইনি পন্থায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অভিযোগ এসেছে। সব ক’টি অভিযোগেরই সত্যতা তদন্তে ধরা পড়ার পরে সংস্থাগুলিকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে ওই সব সংস্থার কেউ কেউ ফের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছেন বলে অভিযোগ।

সাম্প্রতিকতম ঘটনাটির ব্যাপারে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতরের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে হেপাটাইটিস-এ টিকা পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ শুরু হয়। তা চলে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যে ৪৬ জনের উপর ওই টিকা পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয় তাঁদের ২৮ জনই হাসপাতালের কর্মচারী ও নার্স। তাঁরা যে স্বেচ্ছাসেবক হতে রাজি, তার কোনও ভিডিও রেকর্ডিং হয়নি, চুক্তিও করা হয়নি— তদন্তকারীরা এমনই রিপোর্ট দিয়েছেন বলে খবর।

এ ব্যাপারে যে হাসপাতাল সম্পর্কে অভিযোগ, সেই বেলভিউয়ের শীর্ষকর্তা প্রদীপ টন্ডন বলেন, ‘‘১৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতরের অফিসারেরা হেপাটাইটিস-এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করুন।’’ যাঁর নেতৃত্বে টিকা প্রয়োগ হয়, সেই গ্যাসট্রোএন্টেরোলজিস্ট মনোজকুমার অগ্রবালের দাবি, ‘‘অনিয়ম হয়নি। কর্মী ও নার্সেরা নিজে থেকে ট্রায়ালের অংশ হতে চেয়েছিলেন।’’

কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী ও নার্সদের একাংশের সঙ্গে কোনও চুক্তি ছাড়াই তাঁদের উপরে হেপাটাইটিস এ-র টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত চালিয়ে দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতরের অফিসারেরা ওই হাসপাতালে সব রকম ওষুধ, ইঞ্জেকশন বা টিকা-র পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বা ক্লিনিকাল ট্রায়াল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছেন।

দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতর সূত্রের খবর, অভিযুক্ত হাসপাতালেরই এক কর্মী তাঁদের দফতরে একটি অভিযোগপত্র পাঠান। তার ভিত্তিতে গত ১৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতরের অফিসারেরা ওই হাসপাতালে দু’বছরের পুরনো ওই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। তার পরেই গত সপ্তাহে তদন্তকারীরা ওই হাসপাতালে ভবিষ্যতে সব রকম ওষুধ, ইঞ্জেকশন বা টিকা-র পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেন।

ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতরের এক কর্তা বলেন, এমনিতেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে সংস্থার কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নেওয়ার কথা নয়। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চাকরি বাঁচাতে গিয়ে অনেকেই অনিচ্ছা থাকলেও ‘না’ করতে পারেন না। ওই কর্তা বলেন, ‘‘এই ভাবে অসহায়তার সুযোগ নিয়ে কাউকে বাধ্য করাটা অপরাধ।’’ তার পরেও স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়ে কেউ অনুমতি দিলে তা ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখার কথা। আলাদা করে চুক্তিও হওয়ার কথা।

ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতর দাবি করছে, দক্ষিণ কলকাতার এক সরকারি ক্যানসার হাসপাতাল, মধ্য কলকাতার এক বেসরকারি ক্যানসার হাসপাতাল, উত্তর কলকাতার এক সরকারি হাসপাতাল তথা গবেষণা সংস্থা, দক্ষিণ কলকাতার এক শিশু হাসপাতাল ও এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও এমন বেআইনি পন্থায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অভিযোগ এসেছে। সব ক’টি অভিযোগেরই সত্যতা তদন্তে ধরা পড়ার পরে সংস্থাগুলিকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে ওই সব সংস্থার কেউ কেউ ফের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছেন বলে অভিযোগ।

সাম্প্রতিকতম ঘটনাটির ব্যাপারে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতরের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে হেপাটাইটিস-এ টিকা পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ শুরু হয়। তা চলে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যে ৪৬ জনের উপর ওই টিকা পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয় তাঁদের ২৮ জনই হাসপাতালের কর্মচারী ও নার্স। তাঁরা যে স্বেচ্ছাসেবক হতে রাজি, তার কোনও ভিডিও রেকর্ডিং হয়নি, চুক্তিও করা হয়নি— তদন্তকারীরা এমনই রিপোর্ট দিয়েছেন বলে খবর।

এ ব্যাপারে যে হাসপাতাল সম্পর্কে অভিযোগ, সেই বেলভিউয়ের শীর্ষকর্তা প্রদীপ টন্ডন বলেন, ‘‘১৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতরের অফিসারেরা হেপাটাইটিস-এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করুন।’’ যাঁর নেতৃত্বে টিকা প্রয়োগ হয়, সেই গ্যাসট্রোএন্টেরোলজিস্ট মনোজকুমার অগ্রবালের দাবি, ‘‘অনিয়ম হয়নি। কর্মী ও নার্সেরা নিজে থেকে ট্রায়ালের অংশ হতে চেয়েছিলেন।’’

(চলবে)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE