ফাইল চিত্র।
রাজ্যের লোকায়ুক্ত আইনের উপরে সংশোধনী বিল বিধানসভায় পেশ হচ্ছে আজ, বৃহস্পতিবার। বিলের উপরে দু’ঘণ্টার বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অংশগ্রহণ করে সরকারের তরফে ব্যাখ্যা দেবেন বলেই পরিষদীয় সূত্রের খবর। বিরোধীরা অবশ্য বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তুলতে চায়।
সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, জনজীবনে সুস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে (পাবলিক অর্ডার) যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেই ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে পারবে না লোকায়ুক্ত। আইনজীবীদের একাংশ এবং বিরোধীদের মতে, সরকারের যে কোনও কাজই যে হেতু কোনও না কোনও অর্থে ‘পাবলিক অর্ডার’, তাই মুখ্যমন্ত্রীকে আসলে লোকায়ুক্তের আওতার বাইরে রাখার উদ্দেশ্যেই এমন বিল। সরকার পক্ষ অবশ্য যুক্তি দিয়েছে, কেন্দ্রীয় লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য যেমন কিছু রক্ষাকবচ আছে, সেই ধারা মেনেই মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও অব্যাহতির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এমন বিল ঘিরে বিতর্ক আজ তীব্র হওয়ারই সম্ভাবনা। বিলটি মুখ্যমন্ত্রীরই হাতে-থাকা স্বরাষ্ট্র কর্মিবর্গ দফতরের। বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা (বি এ) কমিটিতে বুধবার কথা হয়েছে, বিলটি পেশ করবেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বক্তা হিসেবে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর জন্য বিরোধী বিধায়কেরা প্রস্তাবিত কমিটির সদস্যদের নাম জমা দিয়েছেন বিধানসভার সচিবালয়ে। বিল পেশের আগের দিনই বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বিজেপি ও তৃণমূলকে এক বন্ধনীতে ফেলে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের সরকার সাত বছরে লোকায়ুক্ত নিয়োগ করেনি, মোদীর সরকারও চার বছরে লোকপাল করেনি কাউকে! সারদায় অনুমান, নারদে প্রমাণ ছিল। তবু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কিছু করে উঠতে পারেনি। এখন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় আইনকে সামনে রেখে লোকায়ুক্তে সংশোধনী আনছেন।’’ বিরোধীদের সচেতক, কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে লোকায়ুক্তের বাইরে রাখার আমরা বিরোধী। সরকার পক্ষকে চেপে ধরা হবে।’’ বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছেন বিজেপির দিলীপ ঘোষও। কংগ্রেস ও বাম পরিষদীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে তাঁর জন্য পাঁচ মিনিট সময় বরাদ্দ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy