মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় গিয়ে শুধু কর্মিসভা করা নয়, তাঁর দুর্গের ভিতেও এ বার ফাটল ধরাতে চাইছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
ভবানীপুর এলাকায় বহু গুজরাতি পরিবারের বাস। বনেদি বাঙালি বাড়িও কম নেই। এই মহলে বিজেপি বরাবরই স্বচ্ছন্দ। ২০১৪-র ভোটে এঁদের বড় অংশের সমর্থন পেয়ে ভবানীপুর বিধানসভায় তৃণমূলের থেকে এগিয়ে ছিল বিজেপি। কিন্তু আগামী ২৬ এপ্রিল অমিত শাহ যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের চেতলা লকগেট সংলগ্ন বস্তি এলাকায়। ভবানীপুর বিধানসভার ২৬৯ নম্বর বুথ এলাকার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। স্থানীয় বস্তির পাঁচ-ছ’টি বাড়িতে যাবেন। চা-ও খাবেন।
রাজ্যে অমিতের সফর শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থেকে। সেখানেও তিনি বৈঠক করবেন পিছিয়ে পড়া নকশাল বাড়ি এলাকার বুথ কর্মীদের নিয়ে। তার পর কথা বলবেন দক্ষিণ কোটিয়াজ্যোত গ্রামে হতদরিদ্র কিছু পরিবারের সঙ্গে। একই ভাবে ২৭শে অমিতের কর্মিসভার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে রাজারহাটের ২৩১ নম্বর বুথ, অর্থাৎ গৌরাঙ্গনগর এলাকা। যেখানে অধিকাংশ পরিবারই আর্থিক ভাবে দুর্বল। কৃষিজমি অধিগ্রহণ করে রাজারহাট-নিউটাউন এলাকায় নগরায়ণ হলেও যাঁরা উন্নয়নের সুবিধা থেকে বঞ্চিতই থেকে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন:ভাইসাবের লড়াই লড়তে তিনি হতে চান বিচারপতি
প্রশ্ন হল, গ্রাম-গরিবের কাছে কেন পৌঁছতে চাইছেন অমিত? বিজেপি জানাচ্ছে, তাঁর লক্ষ্য হল মমতার দুর্গে ধস নামানো। গ্রাম ও অনগ্রসর এলাকায় মমতার জনভিত্তি প্রবল। সেখানে ফাটল ধরাতে না পারলে ভোটে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। অমিত গরিবদের বোঝাতে চান, বামেরা বা মমতা কেউই তাঁদের প্রকৃত উন্নয়নের কথা ভাবেননি। যেটুকু সুবিধা পাচ্ছেন, কেন্দ্রের দৌলতেই।
অমিতের এই কৌশলকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, এর সবটাই নাটক। এবং আখেরে কোনও কাজে দেবে না। যদিও ভেতরে ভেতরে বুথস্তরের সংগঠন ধরে রাখার তৎপরতা তৈরি হয়েছে দলে। কর্মীদের তেমন নির্দেশও ইতিমধ্যেই দিয়েছেন দলনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy