E-Paper

পড়ে থেকে মৃত্যু বৃদ্ধের, অভিযুক্ত রেলপুলিশ

বৃদ্ধের মৃত্যু হওয়ায় কে মামলা করবে, তা নিয়ে রেলপুলিশ ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মধ্যে চাপান-উতোরও শুরু হয় বলে সূত্রের দাবি। শেষ পর্যন্ত মামলা করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪ ০৬:৫১
তখনও বেঁচে বৃদ্ধ।

তখনও বেঁচে বৃদ্ধ। — নিজস্ব চিত্র।

গুরুতর জখম অবস্থায় রেললাইনে পড়ে ছিলেন অজ্ঞাতপরিচয় বৃদ্ধ। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে, দীর্ঘক্ষণ প্ল্যাটফর্মে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠল রেলপুলিশের বিরুদ্ধে। বৃদ্ধ জল চাইলেও, তা দেওয়া হয়নি বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয় কয়েক জন সাহায্য করতে এগিয়ে গেলে, তাঁদের লাঠি উঁচিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘণ্টাখানেক কাতরানোর পরে প্ল্যাটফর্মে মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। শনিবার সকালে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনের ঘটনা। যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে রেলপুলিশ।

এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ হাওড়াগামী কুলিক এক্সপ্রেস প্লাটফর্ম ছেড়ে যেতেই লাইনে ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ট্রেনে ওঠা-নামার সময় দুর্ঘটনা, না লাইন পেরোনোর সময়, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় রেলপুলিশ। বৃদ্ধকে প্ল্যাটফর্মে তোলেন রেলপুলিশের কর্মীরা। তবে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা বৃদ্ধকে স্থানীয়েরা সাহায্য করতে এগিয়ে গেলে, রেলপুলিশের কর্মীরাই আবার তাঁদের লাঠি উঁচিয়ে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। এক সময় নিস্তেজ হয়ে যান বৃদ্ধ। পরে তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় রেলপুলিশ।

জিআরপির মালদহের আইসি প্রশান্ত রায় বলেন, ‘‘যা করার জিআরপি এবং আরপিএফই করেছে। বরং, স্থানীয় বাসিন্দারা কোনও সাহায্য করেননি। আমাদের গাড়ি থাকে না। ফলে, গাড়ি জোগাড় করে বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হয়।’’ হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভেন্দু ভক্ত বলেন, ‘‘রেলপুলিশ বৃদ্ধকে মৃত অবস্থায় এনেছিল। আগে আনা হলে চিকিৎসার চেষ্টা করা যেত।’’ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘আহতকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই উচিত। ঠিক কী হয়েছে, খোঁজ নিচ্ছি।”

বৃদ্ধের মৃত্যু হওয়ায় কে মামলা করবে, তা নিয়ে রেলপুলিশ ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মধ্যে চাপান-উতোরও শুরু হয় বলে সূত্রের দাবি। শেষ পর্যন্ত মামলা করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা। বৃদ্ধের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি মনোজিৎ সরকার।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

harishchandrapur Death

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy