মানিক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
সন্ধ্যায় সংবাদ সংস্থা দাবি করেছিল, সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে। আর বৃহস্পতিবার রাতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ফোনে কথা বলল আনন্দবাজার অনলাইন। তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খারিজ করে মানিক জানালেন, তাঁর ফোন খোলাই রয়েছে। তাতে ফোনও আসছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমায় ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করা হচ্ছে, তা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আমার ফোনে রিং হচ্ছে। যে কোনও সংস্থা চাইলেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।’’
ইতিমধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বেশ কয়েক বার মানিককে ডেকে পাঠিয়েছে। তিনি গিয়েওছিলেন। তবে বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না বলেই দাবি ইডির। বৃহস্পতিবার সকালে মানিকের নাকাশিপাড়ার বাড়িতে গিয়েছিল ইডির একটি দল। তারা তাঁর বাড়িতে লুকআউট নোটিস সাঁটানোর কথাও চিন্তাভাবনা করে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে। যদিও শেষমেশ সেই নোটিস তাঁর বাড়িতে সাঁটা হয়নি। সেই আবহে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, মানিকের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই।
ইডির গোয়েন্দারা বৃহস্পতিবার যখন মানিকের নাকাশিপাড়ার বাড়িতে যান, তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি। এই পরিস্থিতিতে তাঁর নামে লুকআউট নোটিস জারি করায় তিনি কোনও বিমানবন্দর থেকে বিদেশে যেতে পারবেন না। দেশের যে কোনও বিমানবন্দরে তিনি গেলে তাঁকে সেখানেই আটকে স্থানীয় আইনরক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে মানিক জানিয়েছেন, তিনি কোথাও যাননি। কোথায় আছেন? মানিকের কথায়, ‘‘আমার ফোন খোলা। আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। আর চাইলে তো আমার ফোন ট্র্যাক করাও যায়। আমি এ নিয়ে কিছু মন্তব্য করব না।’’
তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, এসএসসি ‘দুর্নীতি’র তদন্তে মানিক সহযোগিতা করছেন না। এ বিষয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে মানিক বলেন, ‘‘এ নিয়ে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই। আমায় যখন ডেকেছে, আমি গিয়েছি। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy