অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল ছবি।
অনুব্রত মণ্ডল যে ফিসচুলায় ভোগেন, সেই কথা আগেই প্রকাশ্যে এসেছে বিভিন্ন সূত্রে। এ বার নিজের মুখে ফিসচুলায় যন্ত্রণার কথা বিচারককে জানালেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। অনুব্রত জানালেন, তিনি ফিসচুলার যন্ত্রণায় বেজায় কষ্ট পাচ্ছেন। উঠতে-বসতে সমস্যা। মাঝেমাঝে যন্ত্রণা ভীষণ ভাবে বেড়ে যায়। এই কথা শুনে অনুব্রতের চিকিৎসার আশ্বাস দিলেন বিচারক।
গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয়। ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন অনুব্রত। শুনানি চলাকালীন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর শরীর কেমন আছে? তার জবাবে অনুব্রত জানান, তিনি এমনিতে ভালই আছেন। কিন্তু মাঝেমাঝে ফিসচুলার যন্ত্রণায় তাঁকে বেশ ভুগতে হয়। আদালত সূত্রে খবর, অনুব্রত বিচারককে বলেন, ‘‘ফিসচুলাতে এখনও যন্ত্রণা রয়েছে। মাঝেমাঝে সেটা বেড়ে যায়। যখন বেড়ে যায়, রক্ত পড়ে।’’ অনুব্রতের মুখে এই কথা শুনে বিচারক বলেন, ‘‘জেল কর্তৃপক্ষকে বলে দিচ্ছি, যাতে আপনার ভাল চিকিৎসা করানো হয়।’’
মূলত অর্শ ও কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের ফিসচুলার সমস্যা দেখা দেয়। মলদ্বারের ভিতরে অনেকগুলি গ্রন্থি রয়েছে। গ্রন্থিগুলিতে সংক্রমণের কারণে ফোঁড়া হলে তাকে ফিসচুলা বলা হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অনেক সময় দেখা যায়, এ সব ফোড়া ফেটে গিয়ে মলদ্বারের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে পায়ুপথের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসে পুঁজ ও রক্ত। এ সময়ে ভীষণ ব্যথা হয়। গত বছরই নানাবিধ সমস্যার কারণে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল অনুব্রতকে। তার পরেই অনুব্রতের অণ্ডকোষের সংক্রমণ ও ফিসচুলার সমস্যার কথা প্রকাশ্যে আসে। শুক্রবার শাসকদলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আদালতে জানালেন, তাঁর ওই রোগ এখনও সারেনি।
শুক্রবারের শুনানিতে অবশ্য অনুব্রতের জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবী। তাই তৃণমূল নেতাকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। পরবর্তী শুনানির দিন ১৭ মার্চ ধার্য হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy