এসএফআই-এর মুখপত্র শারদ সংখ্যার উদ্বোধন। নিজস্ব চিত্র
কোভিড-বিধি মান্য করেই উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য আবেদন জানালেন বাম নেতৃত্ব। বন্যা-দুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে যথাসাধ্য সাহায্য করার আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা। পুজোর শুরুতেই যে ভাবে ভিড় দেখা যাচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে বাম নেতাদের এমন আবেদন।
রাজ্যবাসীকে শারদ শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে রবিবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, ‘‘করোনার ধাক্কায় মানুষের জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত। মূল্যবৃদ্ধিও চরমে। এর মধ্যেই শারদোৎসবের মরসুম এসেছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ কখন এসে পড়বে, আমরা কেউ জানি না। তাই সকলের কাছে অনুরোধ, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। উৎসবের মধ্যে কোভিড-বিধি অবশ্যই যথাযথ ভাবে মেনে চলতে হবে।’’ সূর্যবাবুর আরও বক্তব্য, রাজ্যের অন্তত ৮টি জেলা বন্যা পরিস্থিতির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত। বাসন্তীতে শনিবারও বাঁধ ভেঙেছে। দুর্গত মানুষকে সাহায্য করার আবেদনও জানিয়েছেন সূর্যবাবু। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর বার্তা, কোভিডের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি উৎসবের মরসুমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করে বিভাজনের কৌশলের ফাঁদে কেউ যেন পা না দেন। পুজোয় সাহিত্য বিপণি থেকেও একই বার্তা দিচ্ছেন বাম কর্মীরা। এসইউসি-র রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্যও স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলার আহ্বানের পাশাপাশি আবেদন জানিয়েছেন, পুজোর পরিচালকেরা তাঁদের খরচ কমিয়ে সেই অর্থে জেলায় জেলায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করুন।
দীনেশ মজুমদার ভবনে এ দিন সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের মুখপত্রের শারদ-সংখ্যা প্রকাশের অনুষ্ঠানেও এসেছে অতিমারী নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা। শারদ-সংখ্যার উদ্বোধন করেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ। কৃষক আন্দোলন থেকে এনআরসি, জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা— নানা বিষয়েই চর্চা হয়েছে শারদ-সংখ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy