Advertisement
E-Paper

তিন বার সমন এড়ানোর পর সিবিআই দফতরে জেরায় হাজির অর্ণব ঘোষ

বর্তমানে সিআইডির স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট অর্ণব ২০১৩ সালে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়ন্দা প্রধানের দায়িত্বে পান। সুদীপ্ত সেনের গ্রেফতার থেকে শুরু করে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে রাজ্য সরকারের গঠিত সিট-এ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকা পালন করেন তিনি।

নিজস্ব স‌ংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৯ ১১:৪৯
সিবিআই দফতরে ঢুকছেন অর্ণব ঘোষ।  নিজস্ব চিত্র

সিবিআই দফতরে ঢুকছেন অর্ণব ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

তিন-তিন বার সমন এড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে হাজির হলেন সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে রাজ্য পুলিশের তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর গুরুত্বপূর্ণ কর্তা অর্ণব ঘোষ। বুধবার সকাল ১০টায় অর্ণব পৌঁছন সিজিও কমপ্লেক্সে। আধ ঘণ্টা পরেই তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।

বর্তমানে সিআইডির স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট অর্ণব ২০১৩ সালে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধানের দায়িত্বে পান। সুদীপ্ত সেনের গ্রেফতার থেকে শুরু করে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে রাজ্য সরকারের গঠিত সিট-এ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকা পালন করেন তিনি।

সিবিআই তদন্তকারীদের দাবি, সিট-এর তদন্তে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত অর্ণবই নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিধাননগরের তদানীন্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার তাঁর মাধ্যমেই নির্দেশ কার্যকর করাতেন।

সিবিআইয়ের অভিযোগ, সারদা-কাণ্ডের বহু তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও বিকৃত করেছে সিট। আর সেই বিকৃতি ও লোপাটের কাজ হয়েছে রাজীব কুমারের নির্দেশেই। এ ব্যাপারে কোনও কিছুই অর্ণবের অজানা থাকার কথা নয়। ওই সব তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও বিকৃতির ক্ষেত্রে অর্ণবেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

আরও পড়ুন- মন্ত্রী কারা? পাঁচ ঘণ্টার জাম্বো বৈঠকে মোদী-অমিত​

আরও পড়ুন- আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মোদীর শপথে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা​

সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা জানাচ্ছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বার বার সমন পাঠানো হচ্ছিল অর্ণবকে। জেরা এড়াতে অর্ণব হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পর সারদা তদন্তে পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। তাতে শীর্ষ আদালত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দেয় সিবিআইকে। তার ফলে, অর্ণব যে মামলা করেছেন হাইকোর্টে, তা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। ফলে, রাজীব কুমারের মতো জেরা না এড়িয়ে এ দিন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে হাজির হন অর্ণব। তবে তদন্তে তিনি কতটা সহযোগিতা করবেন, তা এ দিনের জেরার পরেই বোঝা যাবে, জানিয়েছেন সিবিআই অফিসাররা।

সিট-প্রধান রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে রবিবার নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। সোমবার সিবিআই দফতরে চিঠি পাঠিয়ে সাত দিন সময় চান তিনি। সিবিআই তাঁকে সময় দেবে, নাকি নতুন করে নোটিস পাঠাবে, তা মঙ্গলবার পর্যন্ত জানা যায়নি। তেমনই জানা যায়নি, রাজীব কোথায় আছেন। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ।

সিবিআই সূত্র অবশ্য দাবি করছে, ‘‘আমরা রাজীব কুমারের গতিবিধির উপরে নজর রাখছি। ওঁর দু’টি মোবাইল ফোনই সুইচড অফ। তা সত্ত্বেও আমরা জানি, তিনি কোথায় রয়েছেন।’’ একই সঙ্গে তদন্তকারীদের সামনে হাজির না-হয়ে সময় চাওয়াকে তদন্তে অসহযোগিতার সমতুল বলেই মনে করছে সিবিআই শীর্ষ মহল।

এ দিকে, আগাম জামিন চেয়ে রাজীব কুমারের তরফে নতুন হলফনামা মঙ্গলবারেও বারাসত আদালতে জমা পড়েনি। গত শুক্রবার জমা দেওয়া হলফনামা ত্রুটিপূর্ণ বলে খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। পাশাপাশি, দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এখনও রাজীবকে ছাড়া হয়নি বলে নবান্ন সূত্রের খবর। সেই কারণে, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন।

সিবিআই সূত্রের খবর, রাজীবকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করার আগে রাজ্য পুলিশের কয়েকজন অফিসারকে ডেকে সিট সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য করতে চায় সিবিআই। সিটের অন্য দুই গুরুত্বপূর্ণ অফিসার দিলীপ হাজরা এবং শঙ্কর ভট্টাচার্যকেও নতুন করে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এই দুই অফিসারকে এর আগেও বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এঁদের মধ্যে দিলীপবাবু অবসর নিয়েছেন। সিবিআই সূত্রে জানা যায়, আগামী সপ্তাহে অর্ণব ঘোষ-সহ সিটের আরও প্রায় চার জন অফিসারকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

Arnab Ghosh CBI Saradha অর্ণব ঘোষ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy