E-Paper

রঞ্জিতের শেষকৃত্যে মান্নানেরা

মৃতের ছেলে কিশোর হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় কর্মরত সিভিক কর্মী। রঞ্জিতের স্ত্রী কলাবতী বলেন, ‘‘ছেলে আর পুলিশের বিরুদ্ধে কী বলবে! পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:৫০

—প্রতীকী চিত্র।

খাসজমির দখল নিয়ে বিবাদ প্রতিবেশীদের একাংশের সঙ্গে। তার রেশ গড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের উত্তর রামপুরের সিভিককর্মীর বাবা রঞ্জিত দাসের (৬৫) মৃত্যুর পরেও। শেষকৃত্যে পড়শিরা না থাকায়, পাশে দাঁড়ালেন সন্নিহিত মুকুন্দপুরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। ইন্ধনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

মৃতের ছেলে কিশোর হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় কর্মরত সিভিক কর্মী। রঞ্জিতের স্ত্রী কলাবতী বলেন, ‘‘ছেলে আর পুলিশের বিরুদ্ধে কী বলবে! পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি।’’ তবে হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে।’’ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘খোঁজ নিচ্ছি।’’

রঞ্জিতের মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকার সংখ্যালঘুরা এগিয়ে আসেন ও রঞ্জিতদের পারিবারিক রীতি মেনে তাঁকে সমাহিত করা হয়। কিশোর বলেন, ‘‘আমরা হিন্দু হলেও সমাহিত করার রীতি বংশপরম্পরায়। ওঁরা পাশে দাঁড়ানোয় বাবার শেষকৃত্য করতে পেরেছি।’’ এলাকাবাসী মান্নান আলি বলেন, ‘‘কেউ এগিয়ে আসছেন না জেনে আমরাই সাহায্য করি।’’

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা প্রকাশ বলেন, ‘‘জমি সংক্রান্ত বিবাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। বদনাম করা হচ্ছে।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুররহিম বক্সী বলেন, ‘‘ওই পরিবারটির সঙ্গে যাতে আর কোনও অন্যায় না হয়, পুলিশকে দেখতে বলছি। দলের কেউ জড়িত থাকলে, দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, ‘‘তৃণমূলের শাসনে পুলিশ অসহায়।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Funeral Dispute Property Dispute

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy