তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে নিজের সাংসদ আই ডি শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানিকে ব্যবহার করতে দেওয়ার যে নতুন অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে এ বার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাংসদ দুবেই প্রথম মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন যে, তৃণমূলের এই সাংসদ টাকা এবং দামি উপহারের বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শিল্পপতি গৌতম আদানিকে বিব্রত করতে হিরানন্দানির হয়ে সংসদে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। বিজেপি সাংসদ দুবেকে লেখা চিঠিতে বৈষ্ণব জানিয়েছেন, তিনি আই ডি নিয়ে যে অভিযোগ তুলেছেন, তা অত্যন্ত গুরুতর এবং সংসদের এথিক্স কমিটিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে সাহায্য করবে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার (এনআইসি)।
অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন করার যে অভিযোগ দুবে তুলেছিলেন, তার জন্য বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে আগেই মামলা করেছেন মহুয়া। কিন্তু গত কালই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিল্পপতি হিরানন্দানি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে, দুবাইয়ে বসে মহুয়ার সাংসদ আই ডি ব্যবহার করে তিনি সংসদের ওয়েবসাইটে প্রশ্ন পোস্ট করেছিলেন। হিরানন্দানির এই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে তা সংসদের অধিকার ভঙ্গের শামিল বলে মনে করছেন অনেকে। এই বিতর্কের মধ্যেই দুবেকে বৈষ্ণবের চিঠি লেখা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।
চিঠিতে দুবের উদ্দেশে বৈষ্ণব লিখেছেন, ‘‘আপনার চিঠিতে যে প্রসঙ্গের উত্থাপন করেছেন, তা নিশ্চিত ভাবে অত্যন্ত গুরুতর। আপনার চিঠির বিষয়টি আপাতত এথিক্স কমিটির তদন্তের আওতায় রয়েছে। লোকসভার সচিবালয় থেকে যে কোনও ধরনের নির্দেশ এলেই তা দ্রুততার সঙ্গে পালন করবে এনআইসি। এ বিষয়ে তদন্তে এথিক্স কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতাও করবে এনআইসি।’’
অশ্বিনীর চিঠি প্রসঙ্গে আজ ফের বিজেপি এবং আদানি গোষ্ঠীকে আক্রমণ করেছেন মহুয়া। নিজের এক্স হ্যান্ডলে গোড্ডা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে নিশানা করে আজ মহুয়া লেখেন, ‘কে মিথ্যে বলছেন? কয়েক দিন আগে ভুয়ো ডিগ্রিওয়ালা বললেন, এনআইসি-র তরফ থেকে দুবাইয়ে লগ ইন করার তথ্য-সহ সব তথ্য তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। এখন আবার অশ্বিনী বৈষ্ণব বলছেন লোকসভা বা এথিক্স কমিটি চাইলে ওই তথ্য দেওয়া হবে। বিজেপি আমাকে আক্রমণ করতেই পারে। কিন্তু আদানি ও গোড্ডা বোধহয় খুব ভাল কৌশল তৈরি করতে পারেন না’।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)